জোশীমঠ ভাঙছে, বদ্রীনাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার নিয়ে এবার অন্য ভাবনা মন্দির কমিটির
বদ্রীনাথ মন্দিরে রয়েছেন প্রভু বদ্রীনারায়ণ। তিনি পূজিত হন সেখানে। শীতের দিনে তিনিই চলে আসেন জোশীমঠে। সঙ্গে আসে তাঁর রত্নভাণ্ডার। যা নিয়ে অন্য চিন্তা কমিটির।
ভারতের চারধাম যাত্রার অন্যতম বদ্রীনাথ মন্দির। ভারতের মন্দির দর্শনের তালিকায় অন্যতম নাম বদ্রীনাথ মন্দির। বদ্রীনাথ মন্দিরে অধিষ্ঠান প্রভু বদ্রীনারায়ণের।
গ্রীষ্ম বা বর্ষায় বদ্রীনাথ মন্দিরে তিনি পূজিত হলেও, শীতে যখন বদ্রীনাথ মন্দির কার্যত বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে তখন বিগ্রহ নামিয়ে আনা হয় জোশীমঠে। ৬ মাস বন্ধ থাকে বদ্রীনাথ মন্দির।
সেসময় বদ্রীনাথ মন্দিরে ভক্তদের দেওয়া সোনা, রূপো, অলঙ্কার, রত্ন সবই নামিয়ে আনা হয় বিগ্রহের সঙ্গে। যা রাখা হয় জোশীমঠের নরসিংহ মন্দিরে। জোশীমঠের বেহাল দশায় এই মন্দিরেও দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে রাতের ঘুম উড়েছে বদ্রীনাথ কেদারনাথ মন্দির কমিটির।
মন্দির কমিটি ইতিমধ্যেই একটি সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছে। বদ্রীনাথ মন্দিরের পুরো ধনসম্পদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নরসিংহ মন্দির থেকে।
৩০ কুইন্টাল রুপো, ৪৫ কেজি সোনা এবং প্রচুর হিরে জহরত রয়েছে মন্দিরের সম্পদ হিসাবে। আপাতত পিপলকোঠীতে মন্দির কমিটির যে ধর্মশালা রয়েছে সেখানে সেই ধনসম্পদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা স্থির করেছে মন্দির কমিটি। তবে এখনই নয়।
যদি নরসিংহ মন্দিরের ফাটল আরও বাড়ে তাহলে যাতে বদ্রীনারায়ণের সব ধনসম্পদ দ্রুত সরানো যায় তার ব্যবস্থা পাকা করতে উদ্যোগী হয়েছে মন্দির কমিটি। যদিও তা হয়তো ভাবার সময় এসেছে। অন্তত বিশেষজ্ঞেরা তাই মনে করছেন।
কারণ উপগ্রহ চিত্র দেখে বিশেষজ্ঞদের দাবি, জোশীমঠের কোনও একটা অংশ নয়, পুরো জোশীমঠই নেমে যেতে চলেছে। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা