ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান ছিল ক্যাটাগরি ৫ ঘূর্ণিঝড়। আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরি হয়েছে বলে যা হ্যারিকেন নামে পরিচিত। সেই হ্যারিকেন ডোরিয়ান ইতিহাসের পাতায় জায়গা করেছে। কারণ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর তৈরি যত ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে তারমধ্যে অন্যতম ভয়ংকর ছিল ডোরিয়ান। ৫০টি প্রাণ কেড়েছে এই ঝড়। শেষ করে দিয়েছে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের অনেকগুলি দ্বীপ। সেখানে এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
২৯৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়া ডোরিয়ান-এর তাণ্ডবলীলায় এখনও খোঁজ নেই ১ হাজার ৩০০ মানুষের। ১৫ হাজার মানুষের মাথার ওপর ছাদ চলে গেছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসছে দেহ। ডোরিয়ানের সেই স্মৃতি মোছা তো দূরে থাক, এখন তার তাণ্ডব থেকে স্বাভাবিক জীবনেই ফিরতে পারেনি বাহামা। তারমধ্যেই নতুন বিপদ। ফের আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরি হয়ে ছুটে আসছে আর এক দানব ঝড়।
ডোরিয়ানের পিছু ধাওয়া করে এবার তেড়ে আসছে হামবার্তো। এই হ্যারিকেন প্রবল ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে চারিদিক ভাসানো বৃষ্টি সঙ্গে করে ধেয়ে আসছে। ডোরিয়ানে সবচেয়ে বেশি তছনছ হয়েছে গ্রেট এবাকো দ্বীপ। হামবার্তো ঠিক ওই দ্বীপের দিকেই ধেয়ে আসছে।
কার্যত হামবার্তো এখানে আছড়ে পড়া মানে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত ব্যাপারটা দাঁড়াবে। তবে হামবার্তোর ঝড় ডোরিয়ানের মত অত ভয়ংকর হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঝড় অত ভয়ংকর না হলেও বৃষ্টি হবে ভয়ংকর। প্রচুর জল নিয়েই ধেয়ে আসছে হামবার্তো।
ডোরিয়ানে তছনছ হয়ে যাওয়া গ্রেট এবাকো দ্বীপে এখন পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। সেই উদ্ধার কাজ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে চলেছে হামবার্তোর প্রভাবে। বাহামার অনেক দ্বীপেই বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরমধ্যেই গত শুক্রবার ডোরিয়ান বিধ্বস্ত বাহামা ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়বে। আবহাওয়ার পরিবর্তন এজন্য দায়ী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা