আছাড় খেয়ে পড়ার কথা ছিল স্থলভাগে। কিন্তু ডোরিয়ান বিধ্বস্ত বাহামা দ্বীপপুঞ্জ অল্পের জন্য রক্ষা পেল হামবার্তোর হাত থেকে। আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই ঝড় প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসছিল বাহামার দিকে। এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এখনও ডোরিয়ানের তাণ্ডবলীলা মুছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই পারেনি। এখনও অনেক দ্বীপ তছনছ হয়ে আছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। বেরিয়ে আসছে একের পর এক দেহ।
এখনও পর্যন্ত ৫২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১ হাজার ৩০০ জনের কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের কী হয়েছে তা কারও জানা নেই। ২৯৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ডোরিয়ান আছড়ে পড়ে এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ওপর। ক্যাটাগরি ৫-এর এই ঝড় ইতিহাস গড়েছে। এত ভয়ংকর ঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার ঘটনা ইতিহাসে বড় একটা ঘটেনি। সেই বিধ্বস্ত বাহামা থেকে ডোরিয়ান বিদায় নেওয়ার পর তার পিছু ধাওয়া করে ফের চোখ রাঙাতে থাকে হামবার্তো।
সেই হামবার্তো বাহামার ওপর আছড়ে না পড়ে তা গা ঘেঁষে উত্তর-উত্তরপশ্চিমের দিকে চলে যায়। হামবার্তো আরও শক্তি বাড়িয়ে হ্যারিকেনের চেহারা নিয়েছে। তবে তা সমুদ্রের ওপর। ফলে সমুদ্র উত্তাল হচ্ছে। তবে কোনও স্থলভাগকে প্রভাবিত করছে না। যদিও হামবার্তোর অভিমুখ রয়েছে আমেরিকার দিকে। হামবার্তোর গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছেন আবহবিদরা। ফের তা মুখ ঘোরায় কিনা সেদিকে রয়েছে কঠোর নজর।
হামবার্তো আছড়ে পড়লে বাহামার কটা দ্বীপ যে ঠিকঠাক থাকত তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এমনিতেই ছবির মত সুন্দর বাহামার বিভিন্ন দ্বীপের অবস্থা শোচনীয়। সেখানে সারা বছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। সমুদ্রের ধারে এমন মোহময় স্থানে বেড়াতে হাজির হন সারা বিশ্বের মানুষ। ফলে এখানে প্রচুর রিসর্টও রয়েছে। সেই পর্যটন ব্যবসা কার্যত লাটে উঠেছে ডোরিয়ানের দাপটে। শুধু হামবার্তোর হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা আসলে মড়ার ওপর খাঁড়া ঘা থেকে রক্ষা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা