সমুদ্রের ধারে যতদূর চোখ যায় গোলাপি বালি, কোথায় এই রূপকথার দেশ
এখানে গেলে প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করবেনা। সমুদ্রের ধারে যে সোনালি বালুকাবেলা রং বদলে এমন গোলাপি হতে পারে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
সমুদ্রের ধারে অনেকেই ঘুরতে যান। সেখানে বালির ওপর সময় কাটান। সমুদ্র স্নান করেন। আবার বালিতে এসে বসেন। সেই হলুদ বালির ওপর পা দিয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্রকে পাশে রেখে হাঁটতে থাকেন একা অথবা সঙ্গীকে পাশে নিয়ে। সমুদ্রের ধারের এই হলুদ বালির সঙ্গে সকলেই পরিচিত।
কিন্তু কেউ যদি সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে হলুদ নয়, গোলাপি বালির দেখা পান? মিষ্টি গোলাপি রংয়ের বালি যেখানে লেপ্টে থাকে অনন্ত সমুদ্রের ধারে।
নীল জলের গায়ে গোলাপি বালির সমুদ্রতট। দেখে মনে হবে যেন এ বাস্তব নয়, কোনও রূপকথার গল্প। কিন্তু এমনই গোলাপি সমুদ্রতট রয়েছে এই পৃথিবীর বুকে।
বাহামা দ্বীপরাষ্ট্রের চোখ জুড়িয়ে দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে তাদের এই গোলাপি সমুদ্রতট। কিন্তু সমুদ্রতট তো হলদে বালির হয়, এখানে বালি গোলাপি কেন?
এই স্বর্গীয় বালুকাবেলা তৈরির পিছনে রয়েছে আণুবীক্ষণিক জীব ফোরামিনিফেরা। যাদের শরীর লালচে গোলাপি খোলসে মোড়া থাকে। বাহামার গোলাপি সমুদ্রতটে বালিতে মিশে থাকে এই ফোরামিনিফেরা।
সঙ্গে মিশে থাকে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও প্রবাল। সবে মিলে এখানে বালির রংকে হলুদ নয় গোলাপি করে রেখেছে। যা দেখার জন্য বহু মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান এখানে। বাহামা থেকে মায়ামি খুব দূরে নয়। পৃথিবীর আর এক বিখ্যাত সমুদ্রতট। কিন্তু বাহামার এই গোলাপি সমুদ্রতটের টানই আলাদা।