একা ১টি গাছ হাজারো মানুষকে টেনে আনে নিজের কাছে
একাই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি। তার চারধারে তল্লাটের মধ্যে কোনও গাছ নেই। একা এই গাছ হাজার হাজার মানুষকে প্রতিবছর টেনে আনে নিজের কাছে।

চারধার শুকনো। বৃষ্টি এখানে বছরেও একবার হয়না। আরব্য মরুভূমির অংশ এই জায়গা। সেখানেই রয়েছে একটি অনুচ্চ পাহাড়। চারধারে মরু প্রান্তর। কোথাও প্রাণের দেখা নেই। গাছ তো দূরের কথা। শুধু সেই পাহাড়ের ওপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে একটিমাত্র গাছ।
গাছের ডালে ডালে সবুজ পাতার বাহার। ৪০০ বছরের বেশি বয়স সে গাছের। কিন্তু এই একইভাবে সে দাঁড়িয়ে আছে পাতায় ডাল ভরে। জল নেই, তবু সে এই পরিস্থিতিতে বাঁচতে শিখে নিয়েছে। এখন তো দিব্যি বেঁচে থাকে।
চারধার এতটাই শুকনো যে দ্বিতীয় কোনও গাছ তল্লাটের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়না। তাহলে এ গাছ কীভাবে দাঁড়িয়ে আছে তা এক বড় প্রশ্ন।
মনে করা হয় মাটির প্রায় ৫০ মিটার নিচে নেমে গেছে তার শিকড়। সেখানে রয়েছে জলের ছোঁয়া। তাতেই সিক্ত হয়ে বেঁচে থাকে এই ট্রি অফ লাইফ বা স্থানীয় ভাষায় সাজারাত আল হায়াত।
বাহরাইন দেশটাই এমন এক ভূখণ্ড যেখানে বছরে হাতে গুনে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি জিনিসটা কেমন তাই তাদের ভাল করে জানা নেই। বাহরাইনের যেখানে জনবসতি রয়েছে সেখানে জলের জোগানের ব্যবস্থা থাকলেও জাবেল দুখান এলাকার কিছুটা দূরে এই শুকনো প্রান্তরে মানুষ বসতি গড়ে না।
কোনও প্রাণি আসেনা। গাছ হয়না। সেখানে এই গাছ তাই পৃথিবীর অন্যতম অবাক করা প্রাণ। যা দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এ গাছের কাছে হাজির হন। চারধার থেকে খুঁটিয়ে দেখেন ৪০০ বছর বয়স্ক এই গাছকে। অবাক হন তার পাতার বাহার দেখে।