২২শে শ্রাবণ দিনটার মাহাত্ম্য বাঙালিকে নতুন করে বুঝিয়ে দিতে হয়না। বাঙালির মনে প্রাণে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে যে মানুষটা অলক্ষ্যে সব কথা বলে যান সেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী এদিন। প্রতি বছরের মতই এবছরও বিভিন্ন জায়গায় পূর্ণ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিনটি। শান্তিনিকেতনের গৌর প্রাঙ্গণে এদিন বৈকালিকের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দিন। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ ও রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে দিনটির সূচনা হয় রীতি মেনে। এরপর একে একে দিনভরই নানা অনুষ্ঠান রয়েছে।
বৃষ্টি এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে। একটানা বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন। তবু নির্ধারিত সূচি মেনেই বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়েছে রবীন্দ্র স্মরণ। রবীন্দ্রনাথের মূর্তি বা ছবিতে মাল্যদান। বিভিন্ন জায়গায় বাজতে শোনা গেছে রবীন্দ্র সংগীত। বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দিনটি পালিত হয়েছে। বৃষ্টি বাধ সেধেছে ঠিকই। তবে অনুষ্ঠান মাটি করতে পারেনি। যদিও খোলা মঞ্চে যাঁরা অনুষ্ঠানের কথা ভেবেছিলেন তাঁদের কিঞ্চিত সমস্যা হয়।
বৃষ্টি ভেজা রবীন্দ্র স্মরণে এদিন বাংলা ছিল রবীন্দ্রময়। ২২শে শ্রাবণে বিভিন্ন পাড়া ও মঞ্চে একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে। অনেক অনুষ্ঠান বিকেলে। ফলে ততক্ষণে আকাশ অনেকটা পরিস্কার হয়ে যাবে। এখন জীবন অনেক গতিময়। রোজগারের ইঁদুর দৌড়ে সামিল সকলেই। তবু সপ্তাহের মাঝের ব্যস্ত দিনেও বঙ্গবাসী যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসকে একটু অন্যভাবে মনে রাখলেন। পালন করলেন। এটাই বোধহয় রবীন্দ্রনাথের প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধার্ঘ্য।