বাংলাদেশে ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ৬ লক্ষ সুরক্ষাকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। দেশের ১০ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটার এবার ভোট দানে সক্ষম। লড়াইয়ের ময়দানে ৩৯টি দল থাকলেও প্রধান লড়াই ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির। শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ১০ বছর দেশের ক্ষমতায়। এবার জয়ী হলে তৃতীয় বারের জন্য বাংলাদেশের মসনদে বসবেন তিনি। গাইবান্ধা-৩ কেন্দ্রটি বাদ দিয়ে বাকি ২৯৯টি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই কেন্দ্রে এক প্রার্থীর মৃত্যুর জেরে সেখানে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গেছে।
৪০ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বাংলাদেশের আমজনতা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এবারই প্রথম বাংলাদেশে ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যাবহার হচ্ছে। তবে সব কেন্দ্রে নয়। ৬টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলিতে কী ফলাফল হল তা রবিবার রাতের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকেই শুরু হবে গণনার কাজ। মনে করা হচ্ছে সোমবার সকালের মধ্যেই সব ফল বার করে দেওয়া যাবে। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট বয়কট করেছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। এবার কিন্তু সেই পথে না হেঁটে বিএনপি লড়াইয়ের ময়দানে হাজির।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)