নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু এত নিরাপত্তা বন্দোবস্ত থাকা সত্ত্বেও রবিবার এক ভয়ংকর রক্তঝরা নির্বাচন দেখল বাংলাদেশ। সকাল থেকেই শুরু হয় অশান্তি। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লিগ, বিএনপি ও অন্য দলের কর্মীরা। মূলত মারামারি হয় আওয়ামী লিগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবেড়িয়া, রাঙামাটি, বগুড়া, নরসিংদী, সিলেট ও গাজীপুর মিলিয়ে একের পর এক সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ১২ জনের। যারমধ্যে ১০ জন বিভিন্ন দলের কর্মী। ২ জন সাধারণ ভোটার। এছাড়াও সকাল থেকেই বিভিন্ন কোণায় সংঘর্ষ বেঁধেছে। যার জেরে বহু মানুষ আহত। তাঁদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ভোট বয়কট করে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধা জামাত-এ-ইসলামি।
রবিবার বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ৬ লক্ষ সুরক্ষা কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছিল। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪০ লক্ষ। লড়াইয়ের ময়দানে ৩৯টি দল থাকলেও প্রধান লড়াই ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির। শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ১০ বছর দেশের ক্ষমতায়। এবার জয়ী হলে তৃতীয় বারের জন্য বাংলাদেশের মসনদে বসবেন তিনি। গাইবান্ধা-৩ কেন্দ্রটি বাদ দিয়ে বাকি ২৯৯টি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই কেন্দ্রে এক প্রার্থীর মৃত্যুর জেরে সেখানে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গেছে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হয়েছে। তবে সব কেন্দ্রে নয়। ৬টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)