পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিশাল বস্তি। ২০০টির ওপর খড়ের চালের ঘরকে নিমেষের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করল। চোখের সামনে জ্বলে গেল বহু মানুষের সাধের সংসার। দরিদ্র মানুষগুলোর একমাত্র মাথাগোঁজার জায়গা ছিল এই তলতা, বাঁশ, খড়ের চালের ঘরগুলো। সেখানেই পরিবার নিয়ে সুখের সংসার বেঁধেছিলেন তাঁরা। সেই সুখটুকু চোখের সামনে মুছে গেল।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। এখানেই একটি বস্তিতে আগুন ধরে যায়। দমকল কর্মীরা অনেক চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু দাহ্য বস্তু ভরা থাকায় আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বস্তি। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে একে একে দেহ। এমন ৮টি দেহ তাঁরা উদ্ধার করেন। সকলেই ওই বস্তির বাসিন্দা ছিলেন। অনেকেই আগুনের ছোঁয়ায় আহত। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাঁরা সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের সকলের চোখেই জল। সব হারানোর কষ্টটা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাঁদের।
আগুন লাগার কারণ এখনও পরিস্কার নয়। দমকলের তরফে আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে বস্তির সব হারানো মানুষগুলোর জন্য মাথার ওপর ছাদের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)