বিমানে ওঠার পর থেকেই তার আচার আচরণ ভাল ঠেকছিলনা বিমানকর্মীদের। বাংলাদেশ থেকে দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশের ওই যাত্রীবাহী বিমানে তখন ১৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। এদিকে ওই বিমান হাইজ্যাকের ভয় দেখাতে থাকে ওই বছর ২৫-এর যুবক। তার কাছে একটি পিস্তল আছে বলে জানিয়ে বিমান হাইজ্যাকের কথা বলে সে। এরপরই বিমানটিকে রবিবার সন্ধেয় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান পাইলট।
গোটা বিমান ঘিরে ফেলে বাংলাদেশের বিশেষ সুরক্ষাবাহিনী। তারপর সন্তর্পণে ঢুকে পড়ে বিমানে। ১৪৮ জন যাত্রীকে সুরক্ষিতভাবে নামিয়ে আনে তারা। বাংলাদেশের মেজর জেনারেল মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ওই যুবককে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে বলে সেনা। কিন্তু সে তাতে রাজি হয়নি। তারপরই তাকে গুলি করা হয়। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, ওই যুবক হাইজ্যাকের ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তার কথাবার্তা শুনে বিমানকর্মীদের ধারণা ওই যুবক মানসিক বিকারগ্রস্ত। কেন সে এভাবে বিমান হাইজ্যাকের কথা বলে বিমানে শোরগোল তৈরি করল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)