১ শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। তবে সে শিশু অপূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়। এরপর বাড়ি ফিরে যান মা আরিফা সুলতানা। সেটা ছিল ফেব্রুয়ারি মাস। কিন্তু কিছুদিন পর তাঁর ফের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ফলে গত ২১ মার্চ তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর সিজার হয়। যমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। একটি শিশুপুত্র ও একটি শিশুকন্যা। চিকিৎসকেরা জানান মা ও যমজ শিশুরা খুব ভাল আছেন। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু একই সঙ্গে হতবাক চিকিৎসকেরা।
যে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আরিফার সিজার করেন তাঁর হতবাক অবস্থা পরেও কাটছেনা। কীভাবে সম্ভব? একটি শিশুর জন্ম দেওয়ার পর কীভাবে মাত্র ২৬ দিনের মাথায় ফের যমজ শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব? চিকিৎসা বিজ্ঞান একথায় সম্মতি দিলেও এমন ঘটনা তাঁর চিকিৎসক জীবনে এই প্রথম। ফলে কিছুটা চমকিত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ শীলা পোদ্দার।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এর জন্য দায়ী ওই মহিলার দেহে অবস্থিত ২টি জরায়ু। এমন সচরাচর না দেখা গেলেও বিশ্বে অমিল নয়। আরিফা দরিদ্র পরিবারের মহিলা। ফলে তাঁর সন্তান প্রসবের আগে কোনও আলট্রাসোনোগ্রাফি হয়নি। তাই চিকিৎসকেরাও জানতে পারেননি যে প্রথম শিশুর জন্ম দেওয়ার পরও তাঁর পেটে আরও ২টি সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল।
বাংলাদেশে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আরিফা ও তাঁর যমজ সন্তানকে হাসপাতালে থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তারা সকলেই ভাল আছে। কোনও বিপদ নেই। তবে ঘটনাটি নিয়ে চিকিৎসক মহলে আলোচনা চলছে জোরকদমে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)