ঘিঞ্জি বাজারে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ৩০০টির ওপর দোকান। প্রচুর মালপত্র পুড়ে গেছে। ঠিক কত, তার হিসাবে এখনও পরিস্কার নয়। তবে হতাহতের খবর নেই। আগুনে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারত যদি তখন বাজার খোলা থাকত। কিন্তু আগুন লাগে ভোর ৫টায়। তখন বাজার বন্ধ ছিল। ফলে সেদিক থেকে বেঁচে গেছে মানুষের প্রাণ। তবে দোকান ও তার পসরা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে সেনার সাহায্য নিতে হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার গুলশন এলাকায়। ঢাকার বনানী এলাকার বহুতলের আগুনের স্মৃতি এখনও তাজা। তারমধ্যেই ফের ঢাকায় আগুন। আগুন যেন ঢাকার পিছু ছাড়ছে না। গুলশন এলাকার বাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২১টি দমকলের ইঞ্জিন, দমকলকর্মী, সেনা, নৌসেনা ও দোকান মালিকরা আগুন নেভাতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালান। তার জেরেই ২ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে প্রায় সব শেষ। সাড়ে ৩৫০ দোকান রয়েছে এই বাজারে। তারমধ্যে ৩০০-র ওপর দোকান পুড়ে গেছে।
কীভাবে আগুন লাগল তা পরিস্কার নয়। দমকলের তরফে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আগুন লাগার কারণ। অত ভোরে বাজার বন্ধ ছিল। এই বাজারটিতে রান্নার জিনিসপত্র, মুদির জিনিস, কাঁচা বাজার বিক্রি হত। দোকান হারিয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে এখানকার দোকানদারদের। দোকানে মজুত মালপত্রও পুড়েছে। পুড়েছে দোকান। তাঁদের এখন একটাই চিন্তা। সংসার চলবে কেমন করে!
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)