সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। সেজন্যই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বা বিইউইটি চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক ছাত্র। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ-কে গত সোমবার ডরমিটরিতে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর সারা শরীর ছিল ক্ষত বিক্ষত। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভরত ছাত্ররা।
বিক্ষোভকারী ছাত্রদের দাবি, গত রবিবার আবরারকে বেশ কিছু ছাত্র হস্টেলের বাইরে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হয়। তারপর তাঁকে ডরমিটরিতে ফেলে যাওয়া হয়। যদিও পুরো বিষয়টিই এখন তদন্তাধীন। কিন্তু ছাত্রমহলে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়েই অনেক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। যা কার্যত হাসিনা সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বেশ কিছু চুক্তি সাক্ষরিত হয়। যার মধ্যে ছিল ফেনি নদীর জলবণ্টন চুক্তি। সেই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থ বিঘ্নিত করেছে বলেই মনে করেছিলেন আবরার ফাহাদ। সেকথা তিনি ফেসবুকে লেখেনও। সরকারের সমালোচনায় মুখর হন। ফাহাদের এক বন্ধুর দাবি, বেশ কয়েকজন অ্যাকটিভিস্ট ফাহাদকে সকলের সামনে দিয়েই রবিবার ডেকে নিয়ে যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র ছাত্রদের ব়্যাগিং করে থাকে সিনিয়র ছাত্ররা। হয়তো সে জন্যই ফাহাদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে মনে করে বিষয়টায় গুরুত্ব দেননি তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা