বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। কলা বিভাগে স্নাতক হওয়ার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা নিজে না দিয়ে তাঁর মত হুবহু দেখতে ছাত্রীদের দিয়ে দেওয়াতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন দেশের সাংসদ। তরুণী সাংসদের এমন কাণ্ডে দেশ জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। এদিকে ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে সরকারও। বিশ্ববিদ্যালয় ওই তরুণী সাংসদকে বহিষ্কার করেছে। দলও তাঁর সঙ্গে কী করা হবে তা নিয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে।
দেশের একজন সাংসদ তিনি। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের সাংসদ। দেশের যে ৫০টি মহিলা সংরক্ষিত কেন্দ্র রয়েছে তারই একটি থেকে গত বছর নির্বাচিত হন তামান্না নুসরাত বুবলী। অথচ তাঁর এমন কীর্তিতে দেশ জুড়ে ছিছিক্কার পড়ে গেছে। অভিযোগ, তামান্না বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা তাঁর হয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য ৮ জন তরুণীকে খুঁজে বার করেন। তারপর তাঁদের একদম তাঁর মত পোশাক পরিয়ে পরীক্ষায় বসিয়ে দেন।
পরীক্ষা চলাকালীন বাংলাদেশের নাগরিক টিভি-র এক সাংবাদিক পরীক্ষা হলে কভার করতে যান। তিনি সেখানে তামান্না নুসরাত বুবলীর হয়ে পরীক্ষা দেওয়া এক তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধরে ফেলেন যে ওই তরুণী দেশের সাংসদ তামান্না নন। এরপরই ওই ভিডিও হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরেও পড়ে। সাংসদ হলেও দ্রুত তামান্না নুসরাত বুবলীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৮ জন তরুণীকে দিয়ে এই পরীক্ষা দেওয়াচ্ছিলেন তামান্না। তাঁর এই কাণ্ডে প্রবল অস্বস্তিতে পড়া দল পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। এখন বাংলাদেশের সকলে চেয়ে আছেন, বিশেষত বিরোধীরা যে দল তামান্নার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা