রাত তখন ৩টে। একটা ট্রেন ছুটে যাচ্ছিল ঢাকার দিকে। অন্য একটি ট্রেন তখন ওই লাইনেই উল্টোদিক থেকে ছুটে আসছিল। সেটার গন্তব্য ছিল চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় ২টি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ২টি ট্রেনই রাতের অন্ধকারে প্রবল গতিতে ছুটে যাচ্ছিল। ফলে ধাক্কায় ছিটকে যায় যাত্রী বোঝাই ৫টি বগি। ভয়ংকর শব্দে আর ঝাঁকুনিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রামমুখী উদয়ন এক্সপ্রেস ও ঢাকামুখী তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস, এই ২টি ট্রেনই দুর্ঘটনার সময় যাত্রী ভর্তি ছিল। ফলে দুর্ঘটনা ভয়ংকর চেহারা নেয়। ১৬ জনের মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। ৫৮ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে হাজির হন রেলের কর্তারা। আছড়ে উল্টে যাওয়া বগিগুলি থেকে ১৬টি দেহ বার করে আনেন উদ্ধারকারীরা। এছাড়াও কয়েকজন যাত্রীর ছোটখাটো চোট আঘাত লেগেছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কেন এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটল? কীভাবে একই লাইনে ২টি ট্রেন এসে পড়ল? সে সম্বন্ধে সঠিক করে কিছুই বলতে পারছেন না বাংলাদেশের রেল কর্তারা। সিগনাল দেওয়ার দোষ নাকি ট্রেন চালক সিগনাল মানলেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে অবশ্য ট্রেন দুর্ঘটনা খুব নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা