রবিবার সন্ধে। একটি ফ্যান তৈরির কারখানায় আগুন লাগার খবর আসে দমকলের কাছে। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন তখন যথেষ্ট বড় চেহারা নিয়েছে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ৩ তলা কারখানাটি। দমকলকর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দমকল। আগুন আগে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয়। সন্ধে সাড়ে ৭টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ফ্যান তৈরির কারখানাটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেখানে শ্রমিকরা ছিলেন। দমকলকর্মীরা কারখানার ৩ তলা থেকে ১০টি দেহ উদ্ধার করেন। ১০ জনই ওই কারখানার শ্রমিক। দমকলের প্রাথমিক অনুমান সকলেই আগুন থেকে তৈরি হওয়া কালো ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। রবিবার এই বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের গাজীপুরের কেশরিতা গ্রামে।
কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও পরিস্কার নয়। দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তা খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এই ঘটনায় রবিবার সন্ধেয় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকেই আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার ভয় পাচ্ছিলেন। কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা