ফাঁসিতে ঝোলানো হল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকে
৪৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মুজিবুর রহমান শুধু নন, তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেও হত্যা করা হয়েছিল সেদিন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় তাঁকে। তিনি সেখানে জাতির জনক হিসাবে খ্যাত। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৪৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মুজিবুর রহমান শুধু নন, সেইসঙ্গে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেও হত্যা করা হয়েছিল সেদিন।
১২ জন সেনা আধিকারিক ও সেনাকর্মী মিলে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। সেই ১২ জনের একজন ছিল বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। সেই আবদুল মাজেদের অবশেষে ফাঁসি হল। রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মাজেদের ফাঁসি হয়ে যায়।
ঢাকার সেন্ট্রাল জেলে এই ফাঁসি সম্পূর্ণ হয়। তার আগে অবশ্য ফাঁসি মকুবের সব চেষ্টা করেছে মাজেদ। কিন্তু ফল হয়নি। অবশেষে তার ফাঁসি কার্যকর হল।
শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পরই তাঁর পিতার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে তৎপরতার সঙ্গে ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। ধরপাকড়ও হয়। ২০১০ সালেই অভিযুক্ত ৫ জনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছিল। অন্য একজন আগেই ২০০১ সালে জিম্বাবোয়েতে মারা গিয়েছিল। বাকি ছিল ৬ জন। এরা গাঢাকা দেয়।
৬ জনকে পলাতক ঘোষণা করেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলে। মুজিব হত্যায় অভিযুক্তদের আস্তে আস্তে ধরতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। যারমধ্যে আবদুল মাজেদও ছিল। বিচারে মাজেদের ফাঁসির সাজা হয়। সেই সাজা কার্যকর করার আগে আইনত যে যে জায়গায় ফাঁসি মকুবের জন্য আবেদন করা যায় তা করে আবদুল মাজেদ। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে রবিবার ফাঁসি হয়ে গেল তার।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আজও বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা