বইমেলার কথা সকলেই জানেন, দই মেলাও কিন্তু কম বিখ্যাত নয়
বইমেলা নিয়ে মানুষের উৎসাহ নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু দই মেলাও অনুষ্ঠিত হয়। যার কথা হয়তো সকলের জানা নেই। তবে এর প্রসিদ্ধি বহুকালের।
কলকাতায় বইমেলা ঘিরে উৎসাহের অন্ত থাকেনা। বইপ্রেমীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা মেলা প্রাঙ্গণে। বইপিপাসুদের বই কেনা বই বিক্রেতাদের মুখের হাসিও চওড়া করে।
এই বইমেলার কথা সকলের জানা। কিন্তু প্রায় সমসাময়িক সময়ে দই মেলাও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আবার আসে নানা ধরনের দই। তার নানা নাম, নানা স্বাদ। এই দই মেলা কিন্তু বইমেলার মত নতুন নয়, আড়াইশো বছরের পুরনো।
প্রায় আড়াইশো বছর আগে অবিভক্ত বাংলার রাজশাহীর সিরাজগঞ্জের তাড়াসে এক অভিনব মেলার আয়োজন শুরু হয়। সেখানকার তৎকালীন জমিদার বনোয়ারি লাল রায়বাহাদুরের উদ্যোগে শুরু হয় সেই দই মেলা।
জমিদার ছিলেন দইয়ের ভক্ত। তাই ঘোষেদের যাঁরা দই প্রস্তুত করতেন তাঁদের তৈরি দই তিনি নিয়ে আসতে বলেন। কথিত আছে সেই ঘোষেদের নানা স্বাদের দই নিয়ে সে সময় প্রচলন হয় দই মেলার। এখনও সেই মেলা চলে আসছে। যেখানে নানা স্বাদের দই নিয়ে এখনও স্থানীয় দই প্রস্তুতকারকরা হাজির হন।
জমিদারের সময় সেরা দই প্রস্তুতকারককে পুরস্কার দেওয়ারও চল ছিল। এখনও সেই মেলা বসে। তবে বেশিদিন চলে না।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষেই বসে। আসে নানা ধরনের দই। ভিড়ও উপচে পড়ে। ফলে দই নিয়ে যাঁরা হাজির হন তাঁদের দইয়ের হাঁড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়না।
ওই বিপুল পরিমাণ দইও বিক্রি হয়ে যায়। অধুনা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই দই মেলা দেখতে হাজির হন। কিনে নিয়ে যান পছন্দের স্বাদের দই।