জেএমবি-র জঙ্গি আস্তানায় হানা দিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিশ। ২ জনের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে এক জঙ্গি মহিলা ও তার মেয়ে রয়েছে। ঢাকার আশকোণা এলাকায় জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে। এই খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে হাজির হয় বাংলাদেশ পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার একটি দল। বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়, প্রথমে পাশের বাড়িতে লুকিয়ে থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয় জঙ্গিদের উপস্থিতি। তারপর গোটা বাড়িটা ঘিরে ফেলা হয়। শনিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়িটিতে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ফাটানো হয়। যাতে এক পুলিশকর্মী জখম হন। পুলিশও পাল্টা বাড়ির মধ্যে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে। তার আগে এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পুলিশ সূর্য ভিলা নামে ওই তিনতলা বাড়িটি ঘিরে রেখে মাইকে ঘোষণা করতে থাকে যারা বাড়ির মধ্যে রয়েছে তারা যেন আত্মসমর্পণ করে। সে সময়ে ৪ জন পিস্তল ও বোমা সহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণও করে। কিন্তু তখনও ভিতরে বাকি জঙ্গিরা ছিল। পুলিশ তাই বাড়ির মধ্যে ঢোকার চেষ্টা চালিয়ে যায়। দুপুর ২টো নাগাদ এক মহিলা বোরখা পড়ে বেরিয়ে আসে। তার সঙ্গে একটি ছোট মেয়েও ছিল। আচমকাই সে তার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সঙ্গের বাচ্চা মেয়েটির গুরুতর আঘাত লাগে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে পুলিশ জানতে পারে জেএমবি জঙ্গি সুমনের স্ত্রীই এই মহিলা জঙ্গি যে তার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়েছে। একইভাবে এক কিশোরও দেহের সঙ্গে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে নিজেকে শেষ করে দেয়। যদিও মৃত্যুর আগে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে দাবি করেছে পুলিশ। বিকেলে পুলিশ জানায় অপারেশন শেষ। ভিতরে ঢুকে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। তবে রাতে কোনও উদ্ধার কাজ হয়নি। বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে ফের শুরু হবে উদ্ধারকাজ।