পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হল নতুন অর্থবর্ষ ২০১৯-২০। এই অর্থবর্ষের প্রথম দিনে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে যদি সবচেয়ে বড় কোনও খবর হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অব বরোদার সংযুক্তিকরণ। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ নতুন কিছু নয়। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সঙ্গে যে দেনা ও বিজয়া ব্যাঙ্ক মিশে যাচ্ছে সে খবর আগেই হয়েছিল। এদিন শুধু তার আনুষ্ঠানিক সংযুক্তিকরণটা হয়ে গেল। এর ফলে আগামী দিনে দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্কের শাখাগুলি ব্যাঙ্ক অফ বরোদার শাখা হিসাবে কাজ করবে।
সোমবার এই সংযুক্তিকরণের পর দেনা ব্যাঙ্কের শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার শেয়ার ইস্যু করেছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। বাদ যাননি বিজয়া ব্যাঙ্কের শেয়ার হোল্ডাররাও। তাঁদের জন্য ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ৫২ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার শেয়ার ইস্যু করেছে। যদিও দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্কের কর্মীরা এই সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ২ বিচারপতির বেঞ্চ গত ২৮ মার্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সঙ্গে দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্ক মিশে যাওয়ায় এখন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক হয়ে দাঁড়াল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। এক নম্বরে রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ২ নম্বরে রয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। দেনা ও বিজয়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে এখন তৃতীয় বৃহত্তম হল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। মিশে যাওয়ার পর এখন ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ৯ হাজার ৫০০ শাখা, ১৩ হাজার ৪০০ এটিএম, ৮৫ হাজার কর্মী ও ১২ কোটি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)