বেতন বৃদ্ধির হার নিয়ে প্রবল অসন্তোষ ও তা চাহিদামত বৃদ্ধির দাবিতে ২ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে বুধবার সকাল থেকেই নাকাল আমজনতা। ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন সব রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির কর্মীরা। এমনকি এটিএমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। দু’দিন ব্যাপী এই ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব সকাল থেকেই দেখতে পাওয়া গেছে। সব ব্যাঙ্কেরই দরজা ছিল বন্ধ। বেশ কিছু শাখার বাইরে কর্মীদের জমায়েত চোখে পড়েছে। নিজেদের দাবিতে বক্তৃতা ও স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাঁদের। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন এবার ২ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির কথা জানায়। যা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে ব্যাঙ্ক কর্মচারি ইউনিয়নগুলি।
এদিকে সকাল থেকেই অধিকাংশ এটিএমের ঝাঁপ বন্ধ ছিল। ফলে প্রয়োজনে টাকা তোলার সম্ভাবনা এদিন প্রায় ছিলই না। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ছিল নেট ব্যাঙ্কিং বা মোবাইল ব্যাঙ্কিং, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু এই সুবিধাগুলি কাজে লাগানো মানুষের সংখ্যা ভারতের মত দেশে এখনও হাতেগোনা। ফলে সমস্যা ছিলই। চরম নাকাল হতে হয়েছে মানুষজনকে। যাঁরা এটিএম থেকে টাকা তোলার কথা ভেবেছেন, তাঁরা সকাল থেকে একের পর এক এটিএমে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন। আপদে বিপদে টাকা তোলারও কোনও উপায় ছিলনা এদিন। যা একটা বড় সমস্যার মুখে ফেলে দেয় বহু মানুষকে। অনেকে অভিযোগ করেন ওষুধ কেনার টাকা পর্যন্ত তাঁদের হাতে ছিলনা। সবমিলিয়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথম দিনেই কিন্তু চরম দুর্ভোগের শিকার আমজনতা।