২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারি সংগঠন। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তারা এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে সমস্যার শিকার হতে চলেছিলেন সাধারণ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। উৎসবের মরসুমের আগে ২৬ ও ২৭ তারিখ ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হলে যা দাঁড়াচ্ছিল তাতে আমজনতার ঘুম ওড়ার জোগাড় হয়েছিল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হলে শনিবার চতুর্থ শনিবারের জন্য ব্যাঙ্কে ছুটি। রবিবার এমনিই বন্ধ। সোমবার ফের খুলত ব্যাঙ্ক। ৪ দিন বন্ধ থাকার পর। আবার মঙ্গলবার গান্ধী জয়ন্তীর ছুটি। ফলে ৬ দিনে মাত্র ১ দিন ব্যাঙ্ক খোলা থাকত। আর গান্ধী জয়ন্তীর পরদিন ব্যাঙ্ক যখন খুলত তখন তৃতীয়া।
এই পরিস্থিতিতে পুজোর মুখে হাতে নগদের অভাব হতে পারে ভেবে ব্যাঙ্কে সোমবারই ভিড় জমান মানুষজন। কিছুটা আতঙ্কেই। অবশেষে সেই আতঙ্ক কাটল। ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি জানিয়ে দিল তারা আপাতত ব্যাঙ্ক ধর্মঘট প্রত্যাহার করছে। ফলে বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাধারণ নিয়মেই ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। পুজোর মুখে এটা অবশ্যই স্বস্তির খবর। তবে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পিছিয়েছে। সরকারি আশ্বাস পাওয়ার পরই সংগঠনগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার অর্থ সচিব রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করেন ৪ জন ব্যাঙ্ক আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর রাজীব কুমার তাঁদের জানিয়ে দেন ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের জেরে যে পরিস্থিতি ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্য তৈরি হতে পারে তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। এই আশ্বাস সরকারের তরফে পাওয়ার পরই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানায় ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা