বন্ধের দিন হলেও অনেকেই এদিন ব্যাঙ্কের কাজে বার হন। সকালে ব্যাঙ্কে হাজির হন। কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাঁদের। কলকাতা সহ রাজ্যের অনেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দরজাই ছিল এদিন বন্ধ। দরজায় ঝোলানো ছিল ব্যাঙ্ক বন্ধের সমর্থনে ব্যানার, পোস্টার। কিছু ব্যাঙ্কের দরজায় ধর্মঘটীদেরও জমায়েত দেখা যায়। যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন তাঁরা অগত্যা এটিএম-এ হাজির হন। কিন্তু অনেক এটিএম ছিল বন্ধ। শাটার নামানো। অথবা এটিএম-এ টাকা ছিলনা। ফলে আতান্তরে পড়েন সাধারণ গ্রাহকরা।
কলকাতা বা রাজ্যের অন্যান্য জেলার ছবিটা যখন এইরকম তখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও ছবিটা খুব একটা অন্য কিছু ছিলনা। তামিলনাড়ুতে এদিন ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে বন্ধের প্রভাব জনজীবনে না পড়লেও জনজীবনে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। অধিকাংশ ব্যাঙ্ক ছিল বন্ধ। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক সিএইচ ভেঙ্কটচলম দাবি করেন এদিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে গোটা দেশেই প্রভাব পড়েছে। দেশ জুড়েই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ থেকেছে অনেক ব্যাঙ্কের শাখা।
ভেঙ্কটচলম আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘটের জেরে ২৮ লক্ষ চেক ক্লিয়ার করা হয়নি। গোটা দেশেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। কেবল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র শাখাগুলি এদিনের ধর্মঘটে কম প্রভাবিত হয়েছে। আগেই সেকথা জানিয়েছিল এসবিআই। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছিল তাদের কর্মীদের খুব কমজনই ধর্মঘটী ট্রেড ইউনিয়নগুলির সদস্য। ফলে তাদের পরিষেবায় বড় একটা প্রভাব পড়বে না। বুধবার তা বাস্তবেও পরিলক্ষিত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা