শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি যে তারা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে যাচ্ছে তা আগেই ঘোষণা করেছিল ব্যাঙ্কের কর্মী সংগঠনগুলির মিলিত ফোরাম। সেই ধর্মঘট যাতে না হয় সেজন্য রফা সূত্র বার করতে বৃহস্পতিবার মুম্বইতে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সেই বৈঠক নিষ্ফলা হয়েছে। ফলে ধর্মঘট হচ্ছে। যার সরাসরি প্রভাব পরতে চলেছে গ্রাহকদের ওপর। চরম হয়রানির শিকার হতে চলেছেন গ্রাহকরা।
বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস সহ বিভিন্ন দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ডাকা এই ২ দিনের ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক তো বন্ধ থাকছেই, সেইসঙ্গে বন্ধ থাকছে এটিএমগুলিও। ফলে টাকার দরকার পড়লে তা তোলার কোনও রাস্তা খোলা থাকছে না গ্রাহকদের সামনে। একমাত্র ভরসা অনলাইন। তা আর কতজনই বা ব্যাবহার করেন। টাকা তোলা বা টাকা ফেলা বা অন্য অনেক কাজ ব্যাঙ্কে গিয়ে করতে হয়। যা এই ২ দিনে করার সুযোগ পাবেন না গ্রাহকরা।
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পরদিন রবিবার। ফলে ওইদিনও ব্যাঙ্কের সুযোগ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। একদম সোমবার থেকে ব্যাঙ্ক ফের তার দরজা খুলবে। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। তাদের দাবি মানা না হলে আগামী মার্চ ও এপ্রিলেও ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। সব ক্ষেত্রেই ঝাপটা কিন্তু এসে পড়ে গ্রাহকদের ওপর। যাঁদের ব্যাঙ্ক কর্মীদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে আদপেও কিছু করার নেই। তাঁরা কেবল এর মাঝে পড়ে চরম হয়রানির শিকার হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা