এই উৎসব শুরু হয় মধ্যরাতে, চলে ভোর পর্যন্ত, তৈরি থাকেন একদল চিকিৎসক
এই উৎসব অন্য উৎসবের মত দিনে বা সন্ধেয় শুরু হয়না। শুরু হয় মধ্যরাতে। আর উৎসব শুরুর আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন করা হয় একদল চিকিৎসককে।
মধ্যরাতে শুরু হয় এই উৎসব। মধ্যরাত থেকে সূর্য পূব আকাশে উঁকি দেওয়া পর্যন্ত তা টানা চলে। তবে উৎসবটি একটু আলাদা ধরনের। একটি মন্দিরে হয় এই উৎসব। কিন্তু উৎসবে শামিল সকলের হাতে থাকে লাঠি।
মধ্যরাতে একবার এই উৎসব চালু হওয়া মানে শুরু হয়ে যায় লাঠি দিয়ে মার। যে যাঁকে সামনে পাবেন তাঁর ওপরই চলে লাঠির আঘাত।
অনেক সময় সেই আঘাত এতটাই গুরুতর এবং রক্তাক্ত হয় যে আহত ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এজন্য পুলিশ এবং চিকিৎসক দল মধ্যরাতের আগে থেকেই মন্দিরে উপস্থিত হয়ে যায়। উৎসবটির নাম বন্নি উৎসব।
এ উৎসব প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। প্রতিবছর দশেরার সময় এই উৎসব পালিত হয়। দশেরার মত অতটা জনপ্রিয় না হলেও এর আকর্ষণ ভারতের একাংশের কাছে যথেষ্ট।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন সারাবছর। কবে আসবে সেই উৎসবের দিন? কবে তাঁরা তাতে শামিল হতে পারবেন? কিন্তু এতে শামিল হওয়া মানে কিন্তু যে কোনও সময় চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হওয়া।
সারা দেশ যখন দশেরা পালনে ব্যস্ত থাকে তখন অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের দেবরগাত্তু মন্দিরে পালিত হয় বন্নি উৎসব। অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক থেকেই মূলত ভক্তরা হাজির হন উৎসবে।
বন্নি উৎসবের মূল গাথা দাঁড়িয়ে আছে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ভগবান শিবের বিজয়কে সামনে রেখে। যা ওই মন্দিরে মল মালেশ্বর স্বামী নামে শিবের এক রূপকে সামনে রেখে পালিত হয়।