চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী, তাঁর গান বেঁচে থাকবে চিরদিন
সুরজগতে এ কোন কালো ছায়া? লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর ফের সঙ্গীত জগতে ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী।
সুরের জগতে ফের ইন্দ্রপতন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের এল সুর জগতে মৃত্যু সংবাদ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী।
গত একমাস ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর মঙ্গলবার অসুস্থ বোধ করেন।
পরিবারে লোকজন চিকিৎসককে বাড়িতেই ডাকেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ফের বাপ্পি লাহিড়ীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মধ্যরাতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু বাংলা তো বটেই সারা ভারতের সঙ্গীত জগতে এক বড় বিপর্যয়। মাত্র ৬৯ বছর বয়সে লতা, সন্ধ্যার পর সুরলোকে পাড়ি দিলেন বাপ্পি লাহিড়ী।
একের পর এক অমর গানের স্রষ্টা ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। বলিউডে তিনি এক নিজস্ব ধারা তৈরি করেছিলেন সুরের। তাঁর সুর মানুষের মনে দোলা দিত।
একাধারে হিন্দি ও বাংলা হিট গান উপহার দিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। নিজেও অনেক গান গেয়েছেন। যা এখনও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। বাংলায় অমর সঙ্গী, গুরুদক্ষিণার মত সিনেমা যত না মানুষের মনে আছে, তার গান মানুষ ভুলতে পারেননি।
চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রখনা, কভি আলবিদা না কহনা। তাঁর গান ইয়াদ থাকবে চিরদিন, কখনও সে গানকে আলবিদা জানানো যাবে না। এ কথা তো তিনিই তাঁর চিরদিনের সুরে রেখে গিয়ে গেলেন। বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুতে শেষ হয়ে গেল একটি যুগের।