প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে জাপানের হিরোশিমায় পা দিলেন বারাক ওবামা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে আমেরিকা। পরমাণু বোমার তেজস্ক্রিয়তার জেরে ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অগুনতি মানুষ বিকলাঙ্গ হয়ে যান। বহু মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারান। সেই ভয়ংকর ঘটনার পর বিদেশ তো বটেই খোদ নিজের দেশেও ধিক্কারের মুখে পড়তে হয় মার্কিন সরকারকে।
হিরোশিমা, নাগাসাকির সেই স্মৃতি এখনও কোথাও আমেরিকাকে লজ্জিত করে, খোঁচা দেয়। সেজন্যই হয়তো এতদিন কোনও মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিরোশিমায় পা রাখার সাহসটুকুও দেখিয়ে উঠতে পারেন নি। এতদিনে নিজের শাসনকালের শেষলগ্নে দাঁড়িয়ে সেই সাহসটা করে দেখালেন বারাক ওবামা।
এদিন হিরোশিমায় তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে বোমা বিস্ফোরণে মৃত মানুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হিরোশিমা সফর নিয়ে তটস্থ হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্কার করা হয়েছে হিরোশিমায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেও কোথাও বোমা নিক্ষেপের জন্য ওবামা ক্ষমা প্রার্থনা করেন নি।
এদিকে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে হিরোশিমার স্মৃতিসৌধে ওবামার পা রাখাকে যেখানে জাপানের ৭০ শতাংশ মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন, সেখানে খোদ আমেরিকাতেই এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে। ১৯৮৪ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে হিরোশিমায় এসেছিলেন জিমি কার্টার। কিন্তু ঘটনার ৭১ বছর পর পদে থাকাকালীন এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের হিরোশিমায় পা রাখাকে সদর্থক ভাবনা বলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।