বাড়ির কোন গাছ কাটলে অমঙ্গল অবশ্যম্ভাবী
৩টি গাছের কোনও একটি বাড়িতে থাকলে ও সেই গাছ কাটলে অমঙ্গল অবশ্যম্ভাবী। পরীক্ষিত সত্য।
ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি বাড়িতে নারকেল গাছ থাকলে গাছ কাটতে নেই। কেন কাটতে নেই তা নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। নারকেল গাছ জাতিতে ব্রাহ্মণ। এই গাছ কারও কখনও ক্ষতি করেছে এমনটা দেখিনি, শুনিনি।
একসময় গাঁয়ে বড় হয়েছি। কদাচিৎ কখনও কারও নারকেল ঝরে পড়ে গেল, এমনভাবে পড়েছে যে, বাড়ির এতটুকুও ক্ষতি হয়নি। নারকেল গাছ চাপা পড়ে কেউ মারা গিয়েছে, এমনটা শুনিনি, গ্রামেও দেখিনি।
আমার বড়দিদির বাড়ির লাগোয়া একটা বাড়িতে দুটো নারকেল গাছ ছিল। গাছ দুটো কাটার পর সংসারজীবন ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। বড়দিদির বাড়িতে একটা ফলন্ত নারকেল গাছ ছিল। ওই গাছটা কাটার পর বড়দিদিরও পাশের বাড়ির দশা হয়েছিল।
আমার দেখা, নারকেল গাছ কাটলে হয় তাদের বাড়ির লোক মরবে, নয়তো সংসার জীবন লাটে উঠবে। এমন ঘটনা আমার অনেকগুলি দেখা। এই জন্যই বোধহয় নারকেল গাছ কাটতে মানা।
নারকেল গাছকে মহাদেবের প্রতিকৃতি বলা হয় যেমন জবাকে দেবী কালিকা। নারকেল গাছ কাটতে হলে শাস্ত্রমতে অনেক নিয়ম কানুন মেনে পুজো ইত্যাদি করে তবেই কাটতে হবে।
বেলগাছকে সাধু-সন্ন্যাসীরা স্বয়ং শিব বলেন। বেলগাছ কাটলে বাড়িতে নানা দুর্যোগ ও বিপর্যয় অনিবার্য। এ আমার চোখে দেখা।
বাড়িতে বড় নিম গাছ থাকলে এবং সেই গাছ কাটলে গৃহস্বামীর সন্তানের অকালমৃত্যু হয়েছে, এমনটাও আমার দেখা। নিমগাছকে নারায়ণের প্রতিকৃতি মূর্তি বলে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। — তথ্য — শিবশংকর ভারতী