অকারণ ঝুট-ঝামেলা, অশান্তি থেকে মুক্তির সহজ উপায়
অকারণ ঝুট-ঝামেলা, অশান্তি, সম্মানহানি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া টোটকা।
আজকের আধুনিক সমাজ হাজারো সমস্যায় ভরা। অধিকাংশ বহমান জীবনধারা চলেছে অনিশ্চিতের পথে। তাই দেখতে চায় আশার আলো, জানতে পেতে ছুটে যায় জ্যোতিষী, তান্ত্রিক, ভরেপড়া তাবিজ কবচ মাদুলি ফকিরের দরবারে। আঁকড়ে ধরে শর্টকাট পদ্ধতিতে দ্রুত কিছু পাওয়ার আশায়। এগুলি ছাড়া আর অন্য কোনও পথই যেন এদের কাছে খোলা নেই। মিথ্যা আশ্বাসই হয় এদের জীবনে চলার পথের পরম পাথেয়। অথচ পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের এমন কোনও শাখা নেই এককভাবে জটিল সমস্যাসঙ্কুল মানুষের সর্ববিধ সমস্যার সমাধান করতে পারে। ফলে নিট ফল হতাশা।
মানুষের সাংসারিক ও পারমার্থিক কল্যাণের জন্য বিভিন্ন তন্ত্র গ্রন্থে নানান ধরনের প্রতিকার করা হয়েছে দ্রুত ও সহজে মুক্তি পেতে। এর জন্য জপ-তপ কিংবা কোনও সাধনার প্রয়োজন হয় না। নিয়ম মেনে ঠিক ঠিক প্রয়োগ করলে সুন্দর ফল পাওয়া যায় নিশ্চিতভাবে।
এখানে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করছি তা আমার মন গড়া কোনও কথা নয়। যে কাজগুলির কথা বলছি তাতে বড় ধরনের আর্থিক খরচের মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে হয় না।
যাঁরা নানান সমস্যায় আছেন, মনে হচ্ছে যেন কোনও কিছু ঠিকঠাক চলছে না বা সবকিছুর মধ্যেও কিছুটা আরও ভাল হলে ভালো হত, আর যাঁরা এই বিষয়গুলিতে একেবারেই অবিশ্বাসী অথচ সমস্যায় আছেন, তাঁরাও না হয় কোরামিন বা ডেকাড্রন না ভেবে অবিশ্বাসের সঙ্গেই বিষয়টি যাচাই করে দেখতে পারেন, আর যাই হোক, ক্ষতি কিছু হবে না।
বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় মানুষের কল্যাণে সাধুদের দেওয়া উপদেশের ভিত্তিতে এই কথাগুলি বলা।
প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে, যে খাটে আপনি ঘুমান, সেই খাটের নিচে একটা পাত্রে সামান্য জল রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে জলটুকু ফেলে দিন বাইরে। এতে নানান রোগ থেকে মুক্তি, সম্মানহানি, অকারণ ঝুট-ঝামেলা অশান্তি এবং অন্যান্য দুর্যোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের এই ক্রিয়াতে সংসারের অশেষ কল্যাণ হয়। — তথ্য — শিবশংকর ভারতী