জ্যোতিষশাস্ত্র মতে দেবগণ ও রাক্ষসগণে বিবাহের সম্ভাবনা
অনেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাসী, অনেকে নয়। যারা বিশ্বাস করেন তারা করেন, যারা করেন না তারা করেন না। যারা বিশ্বাস করেন তাদের নিয়েই মাথাব্যথা।
অনেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাসী, অনেকে নয়। যারা বিশ্বাস করেন তারা করেন, যারা করেন না তারা করেন না। যারা বিশ্বাস করেন তাদের নিয়েই মাথাব্যথা। জ্যোতিষে বিশ্বাসীদের অনেকের প্রচলিত বিশ্বাস, রাক্ষসগণের সঙ্গে দেব কিংবা নরগণের জাতক বা জাতিকার বিবাহ হলে বিবাহের পর একে অপরকে মাথা চিবিয়ে খাবে। মনের মিল হয় না। সংবাদপত্রে প্রায় নিয়মিত বিজ্ঞাপনে দেখা যায় ‘পূর্ববঙ্গ কায়স্থ, কাশ্যপ, ফর্সা, সুশ্রী, এমবিএ, দেবারি…।’
শত শত পরিবারকে দেখেছি, বিবাহের ভালো ভালো যোগাযোগ ভেঙে দিয়েছে প্রচলিত অবান্তর ভুল ধারণা রাক্ষসগণ খোক্কসগণ দেবগণকে ভিত্তি করে। পাত্র-পাত্রীর মূল জন্মকুণ্ডলীতে সংসার জীবনে সুখের যোগ থাকলে দেবগণের সঙ্গে রাক্ষস-খোক্কস যে গণের সঙ্গেই বিবাহ হোক না কেন এরা সুখী হবেই। পাত্র-পাত্রী উভয়ের মূল জন্মকুণ্ডলীতে দুঃখময় সংসার জীবন যোগ থাকলে তারা দুঃখসহ অশান্তিময় জীবনযাপন করবে, সেটা সংসার জীবন থেকে। সে যদি দেবগণের সঙ্গে দেবগণেরও হয়, দাম্পত্য জীবনে অশান্তির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও পথ নেই।
জ্যোতিষ বিশ্বাসী অভিভাবকদের কাছে প্রশ্ন, ধরুন যোটক বিচারে দেখা গেল পাত্রের সন্তানহীন, পাত্রীর বন্ধ্যত্ব দোষ নেই। পাত্র-পাত্রীর দারিদ্র যোগ নেই। উভয়ের পারিবারিক বিচ্ছেদ যোগ নেই। মোটের উপর কোনও অলক্ষ্মীমার্কা যোগ নেই। গণের মিলনও শুভ হয়েছে যেমন পাত্র-পাত্রী উভয়েই দেবগণ কিংবা পাত্র নর আর পাত্রী দেবগণ। এত মিল তো হল, এবার জিজ্ঞাসা, পাত্রীর জন্মকুণ্ডলীতে ভৌমদোষ এবং বৈধব্য দোষ আছে, পাত্রের ভৌমদোষ অর্থাৎ বিপত্তি যোগ নেই।
বিপরীতটাও ধরা যেতে পারে, পাত্রের বিবাহের পর স্ত্রীর মৃত্যুর যোগ আছে, পাত্রীর নেই। অথচ গণের মিলন তো শুভ হয়েছে, এক্ষেত্রে অভিভাবকরা এ বিবাহে সম্মতি দেবেন কি? পাত্র-পাত্রী উভয়ের ভৌমদোষ থাকলে তো ল্যাঠা চুকে গেল। উভয়য়েই দীর্ঘজীবন লাভ করবে। একপক্ষের থাকলে সে বিবাহ নিষিদ্ধ। বিবাহে যোটক বিচারের ক্ষেত্রে গণ বিচারের বিবাহিত জীবনের সুখ ও দুঃখের ক্ষেত্রে কোনও গ্রহণযোগ্য ভূমিকা নেই।
প্রসঙ্গক্রমে বলি, তিনটি পরিবার থেকে একই সুর আমার কানে এসেছে। যোটক বিচারের জন্য অভিভাবকরা এসেছেন। যোটক মেলেনি। জ্যোতিষী জানিয়ে দিয়েছেন তার মেয়ে বা ছেলেকে। তাদের দুজনের সম্পর্ক আছে তা অভিভাবকদের অজানা নয়। হয়তো তাদের পাত্র বা পাত্রীকে পছন্দ নয়। তাই বিয়েটা ভাঙার উদ্দেশ্যে জ্যোতিষীর মুখ থেকে ‘না’ কথাটা শোনার চেষ্টা।
অভিভাবকরা যখন সে কথা জানিয়েছেন তাদের ছেলে বা মেয়েকে তখনই তাদের বক্তব্য ওই ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করব। একথা বাবা মায়েরা এসে জানিয়েছে আমাকে। বর্তমানে এ কাজটা এ জন্মের মত বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ কোনও কিছু ঘটে গেলে প্রথমেই তুলবে জ্যোতিষীকে। তার অপরাধ – তুমি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছ।