যে যোটকে বিবাহ ডেকে আনে অশান্তিময় জীবন – শিবশংকর ভারতী
নিশ্চিতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে এমন কথাটা যোটক বিচারের সময় বলা যায় না। দাম্পত্যজীবন কিছুতেই সুখকর হবে না এটা বলা যায় সুনিশ্চিতভাবে।
পাত্রের রাশির অষ্টমে কন্যার রাশি হলে সে বিবাহ পরিত্যাজ্য। যেমন পাত্রের রাশি কর্কট এবং পাত্রীর রাশি কুম্ভ। মোটের উপর পাত্রের রাশি ধরে পাত্রীর রাশিতে যেতে হবে।
এবার পাত্রীর রাশিকে ধরে পাত্রের রাশি অষ্টমে হলে সে বিবাহ শুভ। একে মিত্রষড়ষ্টক যোগ বলে। যেমন পাত্রীর রাশই বৃষ, পাত্রের তুলা। এইভাবে কর্কট ও ধনু, কন্যার সঙ্গে কুম্ভ, বৃশ্চিক ও মেষ, মকর ও মিথুন, মীনের সঙ্গে সিংহ যথাক্রমে কন্যা ও বরের রাশি হলে মিত্রষড়ষ্টক হয়।
ব্যাপারটা যেন গুলিয়ে না যায়। যেমন পাত্রের বৃষরাশি পাত্রীর রাশি তুলা না হয়। আর একটা বলি, পাত্রের কর্কট রাশি পাত্রীর রাশি ধনু যেন না হয়।
এ যোগের বিবাহ দেবতাগণেরও পরিত্যাজ্য। এ যোগের বিবাহে স্বামী হয় এক মতের, স্ত্রী হয় আর এক মতের। জীবনে কোনও একসময় সুখের সংসারে কোনও না কোনওভাবে নেমে আসে দুঃসহ বেদনা। ষষ্ঠাষ্টম যোগের বিবাহ সর্বদাই পরিত্যাগ করা কর্তব্য।
একশ্রেণির জ্যোতিষীর ভয় ধরানো ভৌমদোষের কথা বলি। পাত্রের জন্মকুণ্ডলীতে লগ্ন, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, দশম এবং দ্বাদশে মঙ্গল অবস্থান করলে ভৌমদোষ হয়। এই দোষ পাত্রেরক্ষেত্রে বিপত্নীক, পাত্রীরক্ষেত্রে বিবাহোত্তর জীবনে স্বামীর অকাল প্রয়াণের নির্দেশ করে। পাত্র বা পাত্রীর জন্মকুণ্ডলী খললে দেখা যাবে শতকরা ৯৭ ভাগ পাত্র বা পাত্রীর মঙ্গল উক্ত স্থানগুলির কোথাও না কোথাও অবস্থান করছে। আবার অন্যান্য গ্রহের শুভাবস্থান কারণে শতকরা ৯৬ ভাগ খণ্ডিতও হয়ে যায়। তবে বিবাহিত জীবনে একসময় অশান্তির মাত্রাটা মৃত্যুতুল্য করে তোলে, উভয়েরই মনের মৃত্যু ঘটে। পাত্রপাত্রী উভয়ের উক্ত দোষ থাকলে এবং বিবাহ হলে দুজনেই দীর্ঘায়ু হয়।
নিশ্চিতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে এমন কথাটা যোটক বিচারের সময় বলা যায় না। দাম্পত্যজীবন কিছুতেই সুখকর হবে না এটা বলা যায় সুনিশ্চিতভাবে। আজকাল বিবাহের কথা উঠলেই প্রশ্ন জাগে, শাশুড়ির সঙ্গে মিল হবে তো? এক্ষেত্রে শাশুড়ির জন্মকুণ্ডলীটা দেখা দরকার। থাকলে ভালো, না থকলে জন্ম সাল তারিখ সময় দিয়ে জ্যোতিষী করে নিতে পারবে। ঠিক যোটক বিচারে যে মিলগুলির কথা লিখেছি ঠিক এই নিয়ম পাত্রীর সঙ্গে শাশুড়ির রাশি ইত্যাদির মিল হলে আর যাই হোক থানা পুলিশ করতে হবে না।