গুটি গুটি পায়ে দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল ময়ূরপঙ্খী। কথায় বলে মর্নিং শোজ দ্যা ডে। সকাল বলে দেয় দিনটা কেমন যাবে। ময়ূরপঙ্খীও বুঝিয়ে দিয়েছিল বাংলার প্রথমসারির ম্যাগাজিনের তালিকায় জায়গা করে নিতেই তার আত্মপ্রকাশ। হয়েছেও তাই। ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে দেশ এমনকি বিদেশেও বহু মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে ময়ূরপঙ্খীর বিষয় বিন্যাস। কবিতা, গল্প, ধারাবাহিক সহ অন্যান্য বিভাগের লেখা পড়তে দিনদিন বাড়ছে চাহিদা। সেই ম্যাগাজিন এবার প্রকাশ করল তাদের দ্বিতীয় পূজাবার্ষিকী।
প্রভাতের প্রথম আলোয় যে ময়ূরপঙ্খী তার শারদীয়া সংখ্যার পথচলা শুরু করেছিল। সেই ময়ূরপঙ্খীর ওপর প্রভাতের কিরণ এবার আরও উজ্জ্বল। প্রভাতের ঝলমলে সূর্যকিরণের মতই এবারের উপস্থাপনা নজর কেড়েছে। একগুচ্ছ মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প তো আছেই, সেইসঙ্গে রয়েছে রয়েছে কবিতার সম্ভার। রয়েছে টানটান রহস্য কাহিনি। অন্য ধারার প্রবন্ধ। ভ্রমণ কাহিনি। সঙ্গে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কলমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ থেকে অ্যান্টন চেকভের একটি দুর্দান্ত গল্পের অনুবাদ। রয়েছে ২টি অনুগল্প থেকে জিভে জল আনা সব রান্নার রেসিপি। শারদীয়ার শুরুই হচ্ছে আগমনীর ছোঁওয়ায়। ২ পংক্তির কবিতা তৈরি করে দিচ্ছে শারদ আবেশ।
অনেকের মনে হতে পারে অন্য বিভাগ তো সব ঠিক আছে কিন্তু শারদীয়ায় চিকিৎসা সংক্রান্ত লেখা! যাঁদের চিকিৎসা শব্দটায় একটা খটকা লাগল, মানে শারদীয়ায় চিকিৎসা শব্দটা কিছুটা বেমানান মনে হল, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখা ভাল ‘ময়ূরপঙ্খী’ পাঠকপাঠিকার হাতে পৌঁছচ্ছে এক চিকিৎসক ও তাঁর পরিবারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। পেশায় চিকিৎসক। ফলে রাতদিন ব্যস্ততা তুঙ্গে। তার মাঝেও সময় বার করে মনের খিদেটা ‘ময়ূরপঙ্খী’ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য। যে প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় নেই। একটা কথা মানতেই হচ্ছে, শারদীয়া হিসাবে নিজের জায়গায় ‘ময়ূরপঙ্খী’ কিন্তু সকলের মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ময়ূরপঙ্খীর গুণগতমান খুব দ্রুত আরও বেশি মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার নিশ্চিত বার্তা বহন করছে।