অন্য রুট, ইজি চেয়ারে পা দুলিয়ে রামের সাথে কিষ্কিন্ধ্যায়
নিঃসন্দেহে অভিনব ভাবনা। যাঁদের পায়ের তলায় সর্ষে তাঁদের এই অতিমারিতেও একদম অন্য রুটে ভগবান রামের সঙ্গে পায়ে পায়ে ঘোরার সুযোগ দেবে এই কাজ।
রামায়ণ তো অনেকেই পড়েছেন বা শুনেছেন। অনেকে দেখেছেনও। সেখানে রাজা রাম বা ভগবান রামকে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করতে দেখা গেছে তাঁর ১৪ বছরের বনবাসকালে।
তাঁর এই ১৪ বছরের বনবাসকাল রামায়ণের মূল কাহিনির সিংহভাগ ভরে রেখেছে। রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ অযোধ্যা থেকে বনবাসে বার হওয়ার পর এক এক করে বিভিন্ন জায়গায় হাজির হন।
সেখানে তাঁদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা কাহিনি। রাম যে পথে এগিয়ে যে যে জায়গায় পা রেখেছিলেন সেই সেই জায়গা হয়েই এগিয়েছে বইয়ের পাতা। আর সেখানেই তার অভিনবত্ব। একদম ভগবান রামের রুটেই মানুষকে ঘুরিয়েছেন বিক্রান্ত পাণ্ডে ও নীলেশ কুলকার্নি।
ভারতীয়রা ঘুরতে পছন্দই করেন। অনেকেই বছরের বিভিন্ন সময় ছুটি পেলেই পাড়ি জমান এখানে সেখানে। তাঁরাও এখন করোনার জেরে গৃহবন্দি। বহুদিন বাইরে ঘুরতে যাওয়া নেই। তাঁদেরও ঘোরার আনন্দ দেবে এই বইটি।
‘ইন দ্যা ফুটস্টেপস অফ রামা’ ভগবান রামের সঙ্গেই এগিয়ে গেছে অযোধ্যা থেকে। তারপর দণ্ডকারণ্য হয়ে পঞ্চবটী। যা নাসিকের কাছে। সেখান হয়ে বই পৌঁছে গেছে রামের পথেই হাম্পির কাছে কিষ্কিন্ধ্যায়।
তারপর সেখান থেকে রামেশ্বরম হয়ে শ্রীলঙ্কা। এর মাঝে রাম যেখানে যেখানে পা রেখেছিলেন সেখানেই পৌঁছেছে লেখা। রামের পায়ে পায়ে ঘুরিয়েছে পাঠকদের।
ভগবান রামের এগোনো পথ ধরেও যে একটি ভ্রমণ কাহিনি লেখা যায় তা অবশ্যই ভাবনার দিক থেকে নতুনত্বের দাবি রাখে।
তাছাড়া এই বই পড়ার পর অনেকেই এই রুটে ঘুরতে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছকে নিতে পারেন। যাতে হয়তো অনেকটাই কাজে লাগবে এই বইটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা