তাজমহল, লালকেল্লাও বেচে দিয়েছিলেন অনায়াসে, জানেন তিনি কে
এও সম্ভব! তাজমহল বেচা যায়। কেনার লোকও পাওয়া যায়! অবাক হতেই পারেন। কিন্তু এমনটাই করে দেখিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাজমহল তিনি নাকি ৩ বার বেচে দিয়েছিলেন।
তাজমহল বেচে দিয়েছিলেন হেলায়। একজন সরকারি আধিকারিক সেজে তিনি বিদেশি পর্যটকদের বোকা বানিয়ে তাজমহল বেচে দিয়েছিলেন। শোনা যায় তিনি নাকি ৩ বার তাজমহল বেচে দিয়েছিলেন। তাঁকে সকলে চেনেন নটবরলাল নামে। আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব।
শুধু কি তাজমহল, শোনা যায় তিনি নাকি লালকেল্লাও বেচে দিয়েছিলেন। বেচে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনও। ঠগ হিসাবে পরিচিত নটবরলালকে কারাগারেও বন্দি করে রাখা যেত না। কোনও না কোনও ফন্দি বার করে ঠিক কারাগার থেকে পালাতেন তিনি।
নটবরলাল এমন এক চরিত্র যাঁকে নিয়ে গল্প লেখা যায়। সিনেমা তৈরি করা যায়। বুদ্ধি খাটিয়ে একের পর এক ঠকানোর ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন তিনি।
নটবরলাল আবার তাঁর নিজের গ্রামে ছিলেন রবিন হুড। তিনি অধিকাংশ সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। কারণ তাঁকে তাঁর অপরাধের জন্য পুলিশ খুঁজে বেড়াত।
কিন্তু গা ঢাকা দিয়ে থাকাকালীন অনেক সময় তিনি নিজের গ্রামে হাজির হতেন। সেখানে গ্রামের মানুষদের খাওয়াতেন। টাকা দিতেন। গ্রামে কিন্তু নটবরলাল ছিলেন রবিন হুড।
মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব ওরফে নটবরলাল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ থেকে শিল্পপতি ধীরুভাই আম্বানির সই নকল করতে পারতেন। নানা নামে ঘুরতেন তিনি।
একবার তিনি সংসদ ভবনও বেচে দিয়েছিলেন এক বিদেশির কাছে। তাঁকে তাঁর অপরাধের জন্য ১১৩ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ বছরই তিনি সব মিলিয়ে জেলে কাটান।