এই শহরকে দেশের লঙ্কার রাজধানী বলার বিশেষ কারণ রয়েছে
এদেশে আমজনতার দৈনন্দিন রান্নায় লঙ্কা ছাড়া চলেনা। সেই লঙ্কার রাজধানী বলা হয় দেশের একটি শহরকে। যা বলার পিছনে বিশেষ কারণও রয়েছে।
এদেশে লঙ্কা খাওয়ার চল নিয়ে নতুন করে কাউকে বলার অপেক্ষা রাখে না। গোটা বিশ্ব জানে দেশবাসীর লঙ্কার প্রতি ভালবাসার কথা। দেশের প্রতিটি পরিবারেই কমবেশি লঙ্কা লাগে। কেউ কম খান তো কেউ বেশি, তবে লঙ্কা ছাড়া রান্না দেশবাসীর কাছে বিস্বাদ। লঙ্কার চাহিদাও তাই গোটা দেশে যথেষ্ট।
সেই চাহিদার যোগান তাল মিলিয়ে রাখতে ভারতের নানা প্রান্তে লঙ্কা চাষে জোর দেওয়া হয়। তবে ভারতের একটি জেলায় লঙ্কার চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। এখানকার বৈশিষ্ট্য হল নানাপ্রকারের লঙ্কা। নানা জাতের লঙ্কা এখানে ফলে। এখানকার প্রধান কৃষিজ উৎপাদনই হল লঙ্কা।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলা এই লঙ্কার জন্য বিখ্যাত। গুন্টুর জেলার সদর হল গুন্টুর শহর। এই গুন্টুর শহরকেই বলা হয় ভারতের লঙ্কা রাজধানী।
গুন্টুর কেবল ভারতকেই লঙ্কা খাওয়াচ্ছে না, তারা বিদেশেও সমান তালে লঙ্কা রফতানি করে চলেছে। ফলে বিশ্বজুড়ে লঙ্কার চাহিদার যে অংশ ভারত থেকে রফতানি হয় তার সিংহভাগ এই গুন্টুরই করে থাকে।
গুন্টুরে উৎপাদিত সনম এস৪ এবং ৩৩৪ লঙ্কা সারা বিশ্বের বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও গুন্টুরের বিখ্যাত লঙ্কাগুলির মধ্যে রয়েছে অঙ্কুর, পাটকি, রোশনি, ইন্দো ৫, রিঙ্কল, তেজা, বাদগি, মধুবালা এবং আরও অনেক।
প্রসঙ্গত ভারতের লঙ্কার চাহিদার ৪০ শতাংশই প্রতিবছর মিটিয়ে দেয় কেবল অন্ধ্রপ্রদেশ। যারমধ্যে সবচেয়ে বেশি লঙ্কা উৎপাদিত হয় গুন্টুরে।