কলার শহর বলেই এ শহরের পরিচিতি, এখানকার সোনাও বিখ্যাত
ভারতের এ শহরকে কলার শহর বলেই ডাকা হয়। ডাকার পিছনে বিশেষ কারণও রয়েছে। তবে এখানকার সোনার খ্যাতিও কিন্তু ভারত জোড়া।
কলা এমন এক ফল যা বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই খাওয়া হয়ে থাকে। তার গুণও অনেক। ভারত হল বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম কলা উৎপাদক দেশ। ভারত কলা বিদেশেও রফতানি করে। হালেই রাশিয়াতেও কলা রফতানি শুরু করেছে ভারত। ভারতের প্রায় সব জায়গাতেই কম বেশি কলা উৎপাদন হয়।
তবে সবচেয়ে বেশি কলা উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। আর সেই মহারাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি কলা উৎপাদিত হয় জলগাঁওতে। জলগাঁও সোনার জন্য বিখ্যাত। তবে সেই সঙ্গে জলগাঁও কলার জন্যও বিখ্যাত।
জলগাঁওতে এত বেশি পরিমাণ কলা উৎপাদিত হয় যে তাকে ভারতের কলার শহর বলে ডাকা হয়। এখান থেকে কলা নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি বিদেশেও যায়।
জলগাঁওয়ের আবহাওয়া কলা উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। তাই এখানে কলার উৎপাদন সর্বদাই ভাল হয়। মহর্ষি ব্যাস মুনি মন্দির, মনুদেবী মন্দির, মুধাইদেবী মন্দির সহ জলগাঁওতে বেশ কয়েকটি পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। তবে এখানে বৃষ্টি কম হয়। গরম তুলনায় বেশি।
দক্ষিণ ভারত হোক বা পশ্চিমবঙ্গ। নানা জায়গাতেই কলার চাষ হয়। ভাল পরিমাণ কলা উৎপাদিতও হয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রে কলার চাষ সবচেয়ে বেশি হওয়া এবং জলগাঁও জুড়ে কলার বিপুল পরিমাণ চাষাবাদ এই জায়গাকে আলাদা করে দিয়েছে গোটা দেশের থেকে। কলায় ভারত বিশ্বে যে সপ্তম বৃহত্তম উৎপাদক হয়ে রয়েছে তার একটা বড় শ্রেয় যায় মহারাষ্ট্রের ঝুলিতে।