চা বিক্রেতার যাদুকাঠির ছোঁয়ায় বদলে গেল মদ্যপ গ্রাম
মদ সর্বনাশা প্রভাব ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। সেই সর্বনাশা মদই এ গ্রামে জন্ম দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের মধ্যে দাবা খেলার। এখন এটি ভারতের একমাত্র দাবা গ্রাম।
বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দাবাকে টেনে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ। এখন আনন্দের সেই দেখানো পথেই বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ছুটছেন ভারতের দাবা বিস্ময় রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, ডি গুকেশ, বিদিত গুজরাতিরা। ভারত বিশ্ব দাবায় এখন প্রথমসারির দেশ। ভারতের একটি গ্রামও কিন্তু বিশ্বখ্যাত। তাও আবার দাবার জন্য।
কারণ এ গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দাই দাবা খেলায় পটু। সকলেই দাবা ভক্ত। এ গ্রামে পৌঁছলে অনেককেই দাবা খেলতে দেখা যায়। তবে এমনটা ছিলনা। মদে চুর হয়ে থাকা এই গ্রাম দাবা গ্রামে বদলে গেল এক চা বিক্রেতার যাদুকাঠির ছোঁয়ায়।
সময়টা ১৯৬০ সাল। সে সময় এ গ্রামের প্রতিটি মানুষ মদে চুর হয়ে থাকতেন। মদের প্রতি গোটা গ্রামের এই আকর্ষণ সামাজিক সমস্যার জন্ম দিচ্ছিল।
সে সময় কেরালার মারোত্তিচল গ্রামে এক চা বিক্রেতা ছিলেন। নাম সি উন্নিকৃষ্ণণ। যাঁকে এলাকার সকলে উন্নি স্যার বলেই ডাকতেন। তিনি ছিলেন দাবার পরম ভক্ত।
নিজে ভাল দাবা খেলতেন। তিনি গ্রামের মানুষের মধ্যে থেকে মদে আসক্তি ছাড়ানোর জন্য দাবাখেলা শেখানো শুরু করলেন। খুব কম সময়ের মধ্যে গ্রামবাসীদের মধ্যে এই খেলার আনন্দ এতটাই পেয়ে বসল যে তাঁরা ক্রমে মদ ভুলে দাবায় মত্ত হতে শুরু করলেন।
গ্রাম থেকে মদ প্রায় বিদায় নিল। সে জায়গায় দেখা গেল প্রতিটি মানুষ দাবা খেলায় মত্ত। ক্রমে এই গ্রামে দাবাখেলা এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে সেখানকার প্রতিটি মানুষ দাবা খেলায় পারদর্শী।
এখন এ গ্রাম ভারতের একমাত্র দাবা গ্রাম নামে বিখ্যাত। এমনকি বিদেশ থেকেও অনেকে এই গ্রামে বেড়াতে আসেন এখানকার দাবা ভালবাসা দেখার জন্য।