রহস্যে মোড়া এই গ্রামে কিছু ছোঁয়া মানা
এ গ্রামে প্রবেশ করা যায়। রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায়। কিন্তু কিছু ছোঁয়া যায়না। এখানকার কোনও মানুষকেও ছুঁয়ে ফেললে গুনতে হয় মোটা টাকার জরিমানা।
গ্রামে প্রবেশে বাধা নেই। গ্রামে বাইরের লোক আসতে যেতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন। চারিদিক চোখ জুড়িয়ে দেওয়া প্রাকৃতিক দৃশ্যে মোড়া। কিন্তু এ গ্রাম আজও রহস্যে মোড়া। এখানকার মানুষজন আজও নিজেদের আলাদা করে রেখেছেন বাকি দুনিয়া থেকে।
তাঁদের গ্রামে ঘুরতে এসে যদি কেউ ভুল করে কোনও বাড়ি, কোনও মানুষ বা গ্রামের কোনও জিনিস ছুঁয়ে ফেলেন, তাহলে কিন্তু রক্ষা নেই। অতিথিকে মোটা টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
১ হাজার টাকা বা তার বেশিও জরিমানা হতে পারে। কারণ এ গ্রামে মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামের কোনও জিনিস বাইরের কারও ছোঁয়া মানা।
এ গ্রামে রয়েছে নিজস্ব শাসনও। কোনও সমস্যা গ্রামের মধ্যেই বিচার হয়। গ্রামেই তার সমাধান হয়। এ গ্রামে তাই কখনও পুলিশ আসেনি। কারণ পুলিশও তো বাইরের লোক।
গ্রামে যাই হয়ে যাক, তা গ্রামেই মিটিয়ে ফেলা হয়। এ গ্রামে অনেকে বাইরে থেকে আসেন ঠিকই। কিন্তু সেখানে এসে ভিডিও করতে পারবেননা। ভিডিও করায় কড়া নিষেধ আছে এ গ্রামে।
হিমাচল প্রদেশের মলাণা নামে এই পাহাড়ি গ্রামের নিজস্বই আইন, নিজস্বই ভাবনা। এ গ্রামের সকলে মনে করেন তাঁরা আলেকজান্ডারের বংশধর। তাঁরা প্রকৃত আর্য। এটি একটি আর্য গ্রাম। তাই এখানে কারও কিছু ছোঁয়া মানা।
এ গ্রামের শিল্প সংস্কৃতিও নিজস্ব ও মৌলিক। যা ওই গ্রামের মানুষই উপভোগ করেন। এমনকি তাঁরা যে ভাষায় কথা বলেন তাও তাঁদের নিজস্ব বলেই মনে করেন মলাণা গ্রামের বাসিন্দারা। ওই ভাষা অন্য কেউ জানুক বা শিখুক তাও গ্রামবাসী চান না।