শব্দে নয়, সুরে সুরে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন এ গ্রামের মানুষ
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের বিভিন্ন ভাষা। তাঁরা সেই ভাষায় কথা বলেন। কেবল একটি গ্রাম ছাড়া। দেশের এই গ্রাম কথা বলে বিশেষ সুরে।
বিশ্ব জুড়ে ভাষা ভিন্ন হতে পারে। তবে যে যাঁর নিজের ভাষা ব্যবহার করেন কথা বলার জন্য। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে কথা হয় নিজেদের মধ্যে। কিন্তু শব্দ না হয়ে তা মুখ থেকে বার হওয়া কিছু সুর হতে পারে।
যেখানে কোনও শব্দ থাকেনা। কেবল থাকে সুর। আর তাতেই উল্টো প্রান্তে তিনি যাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি দিব্যি বুঝে যান বক্তব্য। উত্তরটাও দেন সুরেই।
তাঁরা একে অপরের সামনেও থাকতে পারেন। আবার দূরেও থাকতে পারেন। ভারতেই রয়েছে এমন একটি গ্রাম যেখানে মানুষ কেবল সুরে কথা বলেন। কোনও শব্দের ভাষায় নয়।
এখানকার প্রতিটি শিশুকে জন্মের পর বিশেষ সুর শেখানো হয়। গ্রামের প্রতিটি মানুষের জন্য আলাদা সুর। তাঁরাও ছোট থাকতে দিব্যি রপ্ত করে ফেলেন এই সুরের ভাষা।
সেখানে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, মা সন্তানের সঙ্গে কথা বলেন, প্রতিবেশি প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলেন, আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন সুরে।
মেঘালয়ের পাহাড়ি গ্রাম কংথং হল সেই গ্রাম যেখানে মানুষের ভাষা হল সুর। এখানে পৌঁছলে সকলকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শোনা যায় ঠিকই, তবে তা শব্দে নয়, সুরে সুরে।
এঁরা মুখ দিয়ে হুইসিলের মত করে নানারকম সুর বার করতে থাকেন। আর তাতেই উল্টো দিকে যাঁকে তিনি যা বলতে চাইছেন তা পরিস্কার হয়ে যায়। তাই এই গ্রামকে সারা বিশ্ব চেনে মিউজিক্যাল ভিলেজ বা সুরের গ্রাম হিসাব।