দেশের জাতীয় মিষ্টির নাম বলতে পারেন, প্রশ্নটা একটু পেঁচানো
দেশের জাতীয় পশু বা পাখির নামটা যতটা সহজে মনে আসে, জাতীয় মিষ্টির নামটা নয়। অনেকে নিশ্চিতও নন। অবশ্যই প্রশ্নটা একটু পেঁচানো।
দেশের জাতীয় পশু বা পাখির নাম জিজ্ঞেস করলে অনেকেই চট করে উত্তরটা দিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু যেই কাউকে জিজ্ঞাসা করা হবে ভারতের জাতীয় মিষ্টি কোনটি, তখন কিছুটা হলেও অনেকে বেগ পাবেন। চিন্তা করবেন। এটা জানিয়ে রাখা ভাল যে ভারতে এ মিষ্টি কিন্তু চুটিয়ে বিক্রি হয়।
মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে কেনেন, খেতেও পছন্দ করেন। এর নামেই যেন যাদু আছে। যা মানুষকে অকৃষ্ট করে। তবে একটা কথা মনে রাখার যে ভারতে এ মিষ্টির জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত হলেও এ মিষ্টির জন্মস্থল ভারত নয়।
ভারতের বাইরে থেকে এ মিষ্টি ভারতে এসেছিল। তারপর ক্রমে তা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয়রা এর স্বাদে মজে যান। ক্রমে মিষ্টিটি অচিরেই ভারতীয় হয়ে ওঠে।
এই পেঁচানো রসে চোবানো সোনালি মিষ্টিগুলি হল জিলিপি। যাকে বাংলার বাইরে অনেকে জলেবি বলতেই পছন্দ করেন। বাংলার পাড়ার মিষ্টির দোকানেও জিলিপির চাহিদা তুঙ্গে থাকে।
জিলিপির নানা প্রকার হয়। যার মধ্যে কেশর জিলিপির দারুণ কদর। পশ্চিমবঙ্গে জিলিপির দারুণ জনপ্রিয়তা। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট এবং পঞ্জাবের মানুষ জলেবি বলতে অজ্ঞান। অনেক জায়গায় একটি জিলিপি নয়, ওজন দরে জিলিপি বিক্রি হয়। বিশেষত বাংলার বাইরে।
জিলিপি কিন্তু ভারতের খাবার ছিলনা। দশম শতাব্দীতে আরবি রান্নার বইতে জিলিপির খোঁজ মেলে। এরপর পারস্যের হাত ধরে এই সুস্বাদু মিষ্টির প্রচলন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র।