দেশেই রয়েছে হাড়হিম করা ভূতুড়ে সমুদ্রসৈকত, রাত নামলে ঘটে ভয়ংকর ঘটনা
এদেশে কয়েকটি ভূতুড়ে জায়গা নিয়ে চর্চা হয়। কিন্তু এখানেই এমন এক সমুদ্রসৈকত রয়েছে যেখানে রাত নামলে শিউরে ওঠার মত ঘটনা ঘটতে থাকে।
ভূতুড়ে জায়গা হিসাবে ভানগড় দুর্গ বা কুলধারা গ্রামের নাম অনেকের জানা। কিন্তু এদেশে এক ভূতুড়ে সমুদ্রসৈকতও রয়েছে। যেখানে সূর্য ডুবলে আজও কেউ ধারেকাছে ঘেঁষে না।
সকালে যে সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকের ভিড় জমে, সেখানেই সন্ধে নামা শুরু হলে ভৌতিক পরিবেশ ঘিরে ধরে। যে সমুদ্রসৈকতে সকালের আলোয় পর্যটকের ভিড় থাকে, সেই সমুদ্রসৈকত জনমানবহীন প্রান্তরে পরিণত হয়।
লোকশ্রুতি যে এই সমুদ্রসৈকতে রাত নামলেই ভৌতিক কাণ্ডকারখানা শুরু হয়ে যায়। সাদা পোশাকে ভূতদেরও দেখা গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আবার কেউ কেউ একটি গোলাকার বস্তুকে ছুটে যেতে দেখেছেন।
মানুষের হাসি, কান্নার শব্দ ভেসে আসে বিভিন্ন দিক থেকে। এছাড়াও এমন নানা ভৌতিক কাণ্ড হয় যা উপলব্ধি করা যায়, লিখে প্রকাশ করা যায়না।
এমনও হয়েছে যে কিছু মানুষ এখানে রাতে থাকার সাহস দেখিয়েছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, সকালে হয় তাঁদের দেহ পাওয়া গিয়েছিল অথবা বেঁচে গেলেও এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তাঁদের যা বলে বোঝানোর নয়।
গুজরাটের সুরাট শহর থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত ডুমাস সমুদ্রসৈকত হল সেই ভৌতিক স্থান। যেখানকার কালো বালি আর ভৌতিক অনুভূতি স্থানীয়দের মুখে মুখে ঘোরে। আজও এখানে সন্ধে নামার পর কেউ থাকেন না।
লোকশ্রুতি এখানে একসময় হিন্দুদের দাহকার্য হত। সেই ছাই এত তৈরি হয়েছিল যে বালির সঙ্গে তা মিশে এখন বালির রং কালো হয়ে গেছে। সেই আত্মারাই এখানে আজও ঘুরে বেড়ায় রাত নামলে। ভারতের অন্যতম ভৌতিক সমুদ্রসৈকত হল এই ডুমাস বিচ।