এটাই দেশের জাতীয় সরীসৃপ, নাম বললে সকলেই চিনতে পারবেন
এদেশে সরীসৃপের অভাব নেই। যেকোনও প্রান্তেই নানারকম সরীসৃপের দেখা মেলে। বহু প্রকারের সাপও রয়েছে তাদের মধ্যে। তারমধ্যে একটি পেয়েছে জাতীয় সরীসৃপের মর্যাদা।
শহরে বড় একটা চোখে না পড়লেও শহর ছাড়ালেই সাপের হদিশ পেতে পারেন যে কেউ। গ্রামাঞ্চলের মানুষ তো প্রায় সাপের সঙ্গেই ঘর করেন। একটি খতিয়ান বলছে ভারতে সারা বছরে সাপের ছোবলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন যায়।
আবার সাপের সঙ্গে কীভাবে সহাবস্থান করতে হয় তা শহরের বাইরে বসবাসকারী মানুষের ভালই জানা। ভারতে নানাধরনের সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
যার মধ্যে বেশ কয়েকটি অত্যন্ত বিষধর। যে কারণে গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাপের ছোবল খেলে জীবন রক্ষার সব ব্যবস্থা তৈরি থাকে। অনেক গৃহস্থ বাড়িতে কার্বলিক অ্যাসিডও মজুত রাখা হয় সাপকে দূরে রাখতে।
ভারত ছাড়া বাংলাদেশেও একটি সাপ প্রচুর পাওয়া যায়। যাকে বলা হয় খৈয়া গোখরো। ভারতে এই সাপ ইন্ডিয়ান কোবরা নামে পরিচিত। যাকে বাংলায় কেউটে বা গোখরো বলা হয়।
এরাই হল ভারতের জাতীয় সরীসৃপের মর্যাদা পাওয়া সাপ। যদিও এই অতি বিষধর সাপের ছোবল যে কোনও মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। দেশের নানা প্রান্তেই কেউটে বা গোখরো দেখতে পাওয়া যায়।
ইন্ডিয়ান কোবরার একটি নজরকাড়া বৈশিষ্ট্য দ্রুত তাদের চিনতে সাহায্য করে। বড় ফণাযুক্ত এই সাপ যখন ফণা তোলে তখন তার চওড়া ফণার পিছনদিকে ২টি চোখের মত গোল গোল কালো ছোপ দেখতে পাওয়া যায়।
যে ২টি গোলাকার দাগ একটি রেখা দ্বারা যুক্ত। রেখাটি ইংরাজি ভি অক্ষরের মত করে ২টি চোখের মত কালো দাগকে যুক্ত করে। এটাই ইন্ডিয়ান কোবরা চেনার খুব সহজ উপায়।