তোপ দেগেও এ গুহার গোপন কুঠুরির খোঁজ পাওয়া যায়নি
রহস্যটা আজও রহস্যই রয়ে গেছে। একসময় এর গোপন কুঠুরির খোঁজ পেতে তোপ দেগেছিল ব্রিটিশরা। তখনও হদিশ মেলেনি। এখনও মেলেনি।
সূত্রপাত সেই বিম্বিসারের সময়ে। মগধরাজ বিম্বিসারের একটা শখ ছিল। তিনি প্রচুর ধনরত্ন সংগ্রহ করতে ভালবাসতেন। আর তা জমিয়ে রাখতেন। দাপুটে রাজা। ফলে তাঁর সংগ্রহে বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ একত্র হওয়াটা অস্বাভাবিক ছিলনা।
এমনি সব ভালই চলছিল। কিন্তু বিম্বিসারকে বন্দি করেন তাঁর ছেলে অজাতশত্রু। কার্যত অজাতশত্রুর হাতেই তাঁর জীবনে দাঁড়ি পড়ে। এদিকে বিম্বিসার ছেলের হাতে বন্দি হওয়ার পর বিম্বিসারের স্ত্রী কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর সেই বিপুল ধনসম্পদ একটি ১ পাথরের তৈরি গুহায় লুকিয়ে ফেলেন।
এই সোন ভান্ডার গুহা আজও এক রহস্যই রয়ে গেছে। বলা হয় এ গুহার গায়ে শঙ্খলিপিতে লেখা যেসব কথা রয়েছে তা যদি কেউ পাঠোদ্ধার করতে পারেন তবে তিনি ওই রত্ন ভান্ডারের হদিশ পেয়ে যাবেন। কিন্তু সে পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি।
বিহারের রাজগিরে অবস্থিত এই গুহার কোথায় ধনরত্ন আছে তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করে ব্রিটিশরা। এমনকি কামান দেগে পাথরে ফাটল ধরিয়েও দেখার চেষ্টা করে তারা।
কিন্তু সেই তোপ পাথরের গায়ে একটা কালো ছোপ ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। এখন এই গুহা এক অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। বহু মানুষ এখানে হাজির হন। ১ পাথরের এই গুহা ঘুরে দেখেন।
এখনও জল্পনা চলতে থাকে এ গুহার কোথায় লুকিয়ে আছে বিম্বিসারের বিপুল ধন ভান্ডার। কিন্তু তার হদিশ এখনও মেলেনি। তা আজও এক রহস্যই রয়ে গেছে।