কালীঘাটের মন্দিরে মা সারদার সঙ্গে ঘটল অলৌকিক এক ঘটনা
মাকে দর্শন করে আসার সময় ভাবলুম, কোনও সধবাকে একটু সিঁদুর দি। এমন সময় দরজার কাছে দেখলুম একটি বউ ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিণী মা সারদামণি (১৮৫৩ – ১৯২০), তিনিও এসেছিলেন মহাতীর্থ কালীঘাটে কালীদর্শনে। শুধু দর্শনই নয়, অনন্ত জন্মের সুকৃতি আর তাঁর করুণাধারায় স্নাত সারদাদেবী স্পর্শও করেছিলেন মা কালীকে।
একবারের কথা। মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রীমা প্রথমে দর্শন করলেন। পরে পুজো দিলেন ভক্তিভরে। তারপর বেরিয়ে আসার সময় হঠাৎ মনে মনে ভাবলেন, কোনও সধবাকে পেলে মা কালীর প্রসাদি সিঁদুর পরিয়ে দেবেন তার সিঁথিতে। এ তো মায়েদের স্বভাবজাত ভাবনা। এমন ভাবনার পরেই ঘটে গেল এক অলৌকিক কাণ্ড। মহাসাধিকা মা সারদামণির কথায় –
‘মাকে দর্শন করে আসার সময় ভাবলুম, কোনও সধবাকে একটু সিঁদুর দি। এমন সময় দরজার কাছে দেখলুম একটি বউ ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাঁর কপালে সিঁদুর দিতেই সে যেন শিউরে উঠল। আমি বললুম, ‘ও কি মা অমন করলে কেন? ব্যথা লেগেছে বুঝি?’ বউটি তখন কোনও কথা না বলে ঘোমটা তুলল। দেখি কপালে আরেকটি চোখ। আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলুম। কতক্ষণ পরে দেখলুম বউটি নেই।’
সহায়ক গ্রন্থ : সাধক কবি রামপ্রসাদ – যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, ভারতের সাধক – শঙ্করনাথ রায়, দেবালয়ে দেবালয়ে শ্রীরামকৃষ্ণ – দেবব্রত বসু রায়, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস – সত্যচরণ মিত্র, কথামৃত – শ্রীম, শ্রীশ্রীসুবোধানন্দের জীবনী ও পত্র (শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ, ঢাকা), বরানগর আলমবাজার মঠ – রমেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, লীলাপ্রসঙ্গ, গুরুভাব, উত্তরার্ধ। এছাড়াও সাহায্য নিয়েছি আরও অসংখ্য গ্রন্থের। সব গ্রন্থ ও লেখকের নাম লেখা হল না। কৃতজ্ঞ লেখক ক্ষমাপ্রার্থী।