সিঙ্গারা, চাউমিনের স্বাদ বাড়ানো খাবারটি একসময় ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হত
এ প্রতিটি দোকানে থাকে। প্রতিটি বাড়িতে থাকে। স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু তা যে ওষুধ হতে পারে তা এখন কাউকে বললেও বিশ্বাস করবেননা।
সিঙ্গারা হোক বা চাউমিন, কাটলেট হোক বা রোল, স্বাদ বাড়াতে লাল থকথকে তরলটি পাশে চাই। এমনকি বাড়িতেও এ বস্তুটি সর্বদা রাখা থাকে। টুকটাক জলখাবারের সঙ্গে এর সঙ্গত খাবারের স্বাদে অন্য মাত্রা এনে দেয়।
যদিও অনেকে একে সস বলে থাকেন, তবে আদপে বহুল ব্যবহার টমেটো কেচাপেরই। এখন যে টমেটো কেচাপ রোল, চাউমিন, চপ, কাটলেটে ব্যবহার হয়, রান্নাতেও দেওয়া হয়, সেই টমেটো কেচাপ একসময় কিন্তু ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হত।
মানুষ সেই ওষুধ দেদার কিনতেন ডায়রিয়া, বদহজম বা জন্ডিস সারাতে। ১৮৩৪ সালে এক মার্কিন চিকিৎসক প্রথম এটা বলেন যে টমেটো কেচাপ এসব অসুখ সারাতে পারে।
এটা জানাজানি হতে টমেটো কেচাপের বিক্রি বাড়তে থাকে। মানুষ অসুখ সারাতে এটি ব্যবহার করতে থাকেন। এরমধ্যেই বাজারে আসে টমেটো পিল। সেই অসুখ সারানোই ছিল লক্ষ্য। তবে এই প্রবণতা ১৮৫০ সালের মধ্যেই বন্ধও হয়ে যায়।
একসময় যে কেচাপ অসুখ সারানোর পথ্য হিসাবে মানুষ কিনে নিয়ে যেতেন, তা এখন নানা খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। প্রসঙ্গত মনে করা হয় কেচাপ আবিষ্কার হয় চিনে।
তবে তা এখন যে কেচাপ পাওয়া যায় তার মত ছিলনা। তাতে আঁশটে গন্ধ হত। পরবর্তীকালে ১৮৭৬ সালে মার্কিন ব্যবসায়ী হেনরি হাইঞ্জ যে কেচাপ বাজারে আনেন তাই এখনকার আধুনিক কেচাপ।