Feature

এ গ্রামের সকলে সংস্কৃতে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন, লেখাপড়াও করেন

সংস্কৃত ভাষাটি কিছু ছাত্রছাত্রীর কাছে পড়াশোনার বিষয়। এছাড়া সংস্কৃত ভাষার কোনও ব্যবহার আর নেই। কেবল একটি গ্রাম ছাড়া। সেখানে সবার মাতৃভাষা সংস্কৃত।

সংস্কৃত ভাষাকেই ভারতীয় অধিকাংশ ভাষার সৃষ্টিকর্তা বলে ধরে নেওয়া হয়। সংস্কৃতের হাত ধরেই অনেক ভাষার জন্ম হয়েছে। যা এখন দেশের নানা প্রান্তে ব্যবহার হয়। কিন্তু যার হাত ধরে সবকিছু, সেই সংস্কৃত ভাষাই কিন্তু ভারতে ব্যবহার হয়না।

এই ভাষা পঠনপাঠনের বিষয় হিসাবে কিছু পড়ুয়া বেছে নিলেও তার বাইরে সংস্কৃত নিয়ে কারও কোনও আগ্রহ নেই। সে ভাষায় কেউ কথাও বলেন না। কেউ চর্চাও করেননা। সংস্কৃত ভাষায় বই কিনেও কেউ পড়েন না। পড়তে পারেনও না।


যে সংস্কৃত ভাষার নামটিই এখন রয়ে গিয়েছে বললে চলে, সেই সংস্কৃত ভাষাই ভারতের একটি গ্রামের মানুষের মাতৃভাষা। গ্রামের সকলে সংস্কৃতেই নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।

সংস্কৃত ভাষা নিয়ে পড়াশোনা এ গ্রামের প্রতিটি পড়ুয়ার জন্য বাধ্যতামূলক। বলা যায় ভারতের একমাত্র সংস্কৃত ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখা গ্রাম এটি।


কর্ণাটকের শিবামোগ্গা অঞ্চলে রয়েছে মাত্তুর গ্রাম। এই গ্রামে সংস্কৃত হল প্রধান ভাষা। আজও এখানে নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃত চর্চা করতেই হয়। সেটাই এই গ্রামের রীতি।

কন্নড় ভাষা জানলেও মাত্তুর গ্রামের বাসিন্দারা সংস্কৃতকেই তাঁদের প্রধান ভাষা বলে মনে করেন। সেটাই তাঁদের মাতৃভাষা। গ্রামের সকলে সংস্কৃতেই নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।

যে ভাষা কার্যত লুপ্তপ্রায় বলাই ভাল, দৈনন্দিন জীবনে যার ব্যবহার দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছেই অবাস্তব, সেখানে মাত্তুর গ্রাম কিন্তু এই ভাষাকেই বাঁচিয়ে রেখেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। হয়তো মাত্তুরের হাত ধরেই সংস্কৃত হারিয়েও হারিয়ে যাবেনা ভারত থেকে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button