বিশ্বের কোন কোন দেশের জাতীয় পতাকা বর্গাকার, নামগুলো খুবই চেনা
বিশ্বে মাত্র হাতেগোনা দেশ রয়েছে যাদের পতাকার আকার বর্গাকার। পৃথিবীর এই কটি ও নেপাল বাদ দিয়ে বাকি সব দেশের পতাকা আয়তক্ষেত্রাকার।
বিশ্বে মাত্র ৩টি দেশ রয়েছে যাদের জাতীয় পতাকা আয়তক্ষেত্রাকার নয়। বাকি ভারত সহ সব দেশের জাতীয় পতাকাই আয়তক্ষেত্রাকার। নেপাল হল এমন একটি দেশ যাদের পতাকা ত্রিকোণ। ২টি কোণের সমাহারে তৈরি নেপালের পতাকা।
এমন পতাকা পৃথিবীতে একটাই আছে যাদের পতাকা তিনকোণা। এছাড়া আরও ২টি দেশ রয়েছে যাদের পতাকা চৌকো হয়। বর্গাকার এই জাতীয় পতাকা থাকা ২টি দেশই ইউরোপের অন্তর্গত।
একটি দেশ হল সুইৎজারল্যান্ড। যাদের জাতীয় পতাকা বর্গাকার হয়। লাল রংয়ের পতাকা। যার মাঝে রয়েছে সাদা যোগ চিহ্ন। যা চিকিৎসাকেন্দ্র বোঝাতে ব্যবহার হয়। একে বলা হয় ক্রস।
চিকিৎসাশাস্ত্রে রেডক্রস বা লাল যোগ চিহ্ন ব্যবহার হয়। সুইৎজারল্যান্ডের ক্ষেত্রে সেটাই সাদা রংয়ের। ১৮৮৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই বর্গাকার জাতীয় পতাকাটি সুইৎজারল্যান্ডের জাতীয় পতাকার মর্যাদা পায়।
বর্গাকার আকারটি জাতীয় পতাকায় ব্যবহার করার কারণ হল সে দেশের মিলিটারি আর্ম কোট। একসময় সুইৎজারল্যান্ডের অস্ত্র, ব্যানারে সাদা ক্রস ব্যবহার করা হত। তার থেকেই এই ধারনার জন্ম।
পৃথিবীর আর যে দেশের জাতীয় পতাকা চৌকো হয় সেটির নাম ভ্যাটিকান সিটি। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র। ১৯২৯ সালে ভ্যাটিকান সিটি একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। ইতালির রোমের মাঝেই ভ্যাটিকান সিটি একটি আলাদা রাষ্ট্র।
সেসময় সার্বভৌম একটা রাষ্ট্র হিসাবে ভ্যাটিকান সিটি যে জাতীয় পতাকা গ্রহণ করে সেটি আকারে বর্গক্ষেত্র হয়। যার মাঝখান থেকে ২টি ভাগ। একটি ভাগ উজ্জ্বল হলুদ রংয়ের। যা ঐশ্বরিক শক্তির প্রতীক। অন্যদিকের সাদা অংশটি পার্থিব ক্ষমতার প্রতীক। এই সাদা অংশের মাঝে থাকে একটি প্রতীক। যাকে বলা হয় প্যাপাল কোট অফ আর্মস।