রথের রশি টানতে না দেওয়ার দুঃখ ভুলতে সমুদ্রপারে নতুন শিল্পের জন্ম দিলেন কবি
সে বহুদিন আগের কথা। সেদিন প্রভু জগন্নাথদেবের এক পরম ভক্তকে টানতে দেওয়া হয়নি রথের রশি। তাই জন্ম দিল এক নতুন অধ্যায়ের।
এ কাহিনি বহু পুরনো। ষোড়শো শতকে পুরীতে এক কবি থাকতেন। নাম ছিল বলরাম দাস। তিনি ছিলেন প্রভু জগন্নাথদেবের এক পরম ভক্ত। জগন্নাথদেবের প্রতি তাঁর ভক্তির সীমা ছিলনা।
এদিকে রথের দিন আসে। রথযাত্রা উপলক্ষে ধুমধাম শুরু হয়। সময় আসে রথের রশিতে টান দেওয়ার। বলরাম দাস উৎসাহের সঙ্গে এগিয়ে আসেন রথের রশিতে টান দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁকে রথের রশি ছুঁতে বাধা দেন সেবায়েতদের একাংশ। অনেক অনুরোধেও তাঁকে রথের রশি ছুঁতে দেওয়া হয়না।
প্রভু জগন্নাথের পরম ভক্ত বলরাম দাস রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেবের রথের রশি ছুঁতে না পারার দুঃখ ভুলতে হাজির হন সমুদ্রের ধারে।
সেখানে তাঁর মাথায় এক ভাবনা আসে। তিনি বালি দিয়ে সেখানেই তৈরি করেন জগন্নাথদেবের মূর্তি ও রথ। এভাবেই তিনি জগন্নাথদেবের রথে শামিল হন সেদিন।
বলরাম দাসের সেই ভাবনা সেদিন জন্ম দেয় একদম এক নতুন শিল্পের। বালি শিল্পের। আজ সেই বালি শিল্প এক অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীর হাত ধরে সামনে আসে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম সুদর্শন পট্টনায়েক। বালি শিল্পের জন্মের এ কাহিনিও তাঁরই বলা।
প্রসঙ্গত ২ বছর সাধারণ ভক্তের সমাগম বন্ধ থাকার পর এ বছর ফের রথযাত্রার দিন সকাল থেকে পুরীতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় নজর কেড়েছে। সত্যিই সেখানে এদিন রথযাত্রায় মহা ধুমধাম।