রাজা জনক হাল কাঁধে নেমে পড়লেন মাঠে চাষ করতে, হাতেনাতে মিলল ফল
এক রাজা ছিলেন জনক। তিনি বিধান মেনে একদিন রাজ সিংহাসন ছেড়ে নেমে পড়লেন মাঠে চাষ করতে। যে উদ্দেশ্যে এত কাণ্ড, তার ফলও মিলল হাতেনাতে।
এ কাহিনি বহু প্রাচীন কালের। সে সময় জনকপুর নামে এক জায়গার রাজা ছিলেন জনক। সেই জনকপুরে একবার খরা হল। মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেল। এক বিন্দু জলের জন্য আকাশের দিকে চেয়ে দিনের পর দিন কাটতে লাগল কৃষকদের। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। বৃষ্টি নামল না।
অবশেষে তাঁদের দুর্দশার কথা জানাতে কৃষকরা রাজ দরবারে হাজির হলেন। রাজা জনককে তাঁদের দুঃখের কথা জানালেন। রাজা সব শুনে তাঁদের আশ্বাস দিলেন বৃষ্টি নামাতে তাঁর পক্ষে যা যা করা সম্ভব তিনি সব করবেন।
কৃষকরা ফিরে যেতে রাজা রাজ পুরোহিতদের তলব করলেন। তাঁদের অবিলম্বে বৃষ্টি নামার বিধান দিতে বললেন। এক রাজ পুরোহিত সব বিচার করে বিধান দিলেন যে যদি রাজা নিজে জনকপুরের মাটিতে হাল নিয়ে চাষ করেন তাহলে বৃষ্টি নামবে অঝোরে।
রাজা আর বিলম্ব না করে রাজ সিংহাসন ছেড়ে হাজির হলেন ক্ষেতে। সেখানে নিজে হাতে চড়া রোদ মাথায় করে হলকর্ষণও করলেন।
সকলে অবাক হয়ে দেখল রাজা মাঠে হাল চষার পরই সেখানে অঝোরে বৃষ্টি নামল। রাজ পুরোহিত জানালেন রাজা নিজে হাল চষায় প্রসন্ন হয়েছেন বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্র।
এখন আর রাজা হাল নিয়ে মাঠে না নামলেও স্থানীয় মহিলারা নামেন হাল চষতে। যাতে বৃষ্টি নামে অঝোরে। উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতে আজও লোক মুখে রাজা জনকের এই বৃষ্টি নামানোর কাহিনি ঘুরে বেড়ায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা