Feature

আলেকজান্ডারের এমন এক রোগ ছিল যা দেখে মানুষ তাঁকে ঈশ্বরের রূপ ভাবতেন

সম্রাট আলেকজান্ডারের কথা তো সকলেই প্রায় ইতিহাসের পাতায় পড়েছেন। সেই আলেকজান্ডারের এমন এক রোগ ছিল যা তাঁকে মানুষের চোখে ঈশ্বর করে তুলেছিল।

বিশ্ব ইতিহাসে যে কয়েকজন সম্রাট চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন অবশ্যই তৃতীয় আলেকজান্ডার। যিনি আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট হিসাবে পরিচিত।

ম্যাসিডোনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের পুত্র আলেকজান্ডার তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় ১২ বছর ধরে কাটান শুধু যুদ্ধের প্রাঙ্গণেই। এর মধ্যে তিনি সুদূর গ্রিস থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করে ফেলেন। ভারতেও প্রবেশ করেন তিনি।


ঝিলম নদীর তীরে রাজা পুরুর সঙ্গে আলেকজান্ডারের যুদ্ধ ইতিহাস খ্যাত। সেই সম্রাট আলেকজান্ডার মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান। তবে বেঁচে থাকাকালীন তাঁর শরীরে একটি এমন রোগ ছিল যা মাঝেমধ্যেই তাঁকে কাবু করে ফেলত।

আলেকজান্ডার মাঝেমধ্যেই মৃগী রোগে আক্রান্ত হতেন। আর তিনি যে কখন মৃগী রোগে আক্রান্ত হবেন তা বোঝা যেত না। যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৩০০-র বেশি বছর আগে তখন চিকিৎসাও ছিলনা সেই রোগের।


এদিকে এই রোগ আলেকজান্ডারকে কষ্ট দিলেও তাঁকে একটা সুবিধাও করে দিয়েছিল। তাঁর প্রজা থেকে সেনা সকলেই মনে করতেন আলেকজান্ডারকে হয় ভূতে ধরেছে অথবা ঈশ্বর স্বয়ং তাঁর দেহে এসেছেন।

ফলে তাঁরা আলেকজান্ডার মৃগী রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে ঈশ্বর জ্ঞান করতেন। মৃগী রোগকে তখন পবিত্র রোগ হিসাবে মনে করতেন সকলে। কারণ মৃগী রোগীকে দেখে তাঁরা মনে করতেন তাঁর ওপর ভর হয়েছে। আলেকজান্ডার বিশ্ব ইতিহাসের এমন এক অমলিন অধ্যায় যা চিরকাল বেঁচে থাকবে তার বীরত্বের গাথা নিয়ে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button